*bア প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান কিন্তু wfosé of “thundering in the index' of a বাঙ্গল সাহিত্য—বাঙ্গালীর সাহিত্য, যে-কেহ এই ভাষা তাহার মায়ের মুখে শুনিয় শিখিয়াছেন, তিনিই দ্যায়তঃ আইনতঃ ইহার ভাগীদার। আপনার কি আপনাদের শত শত কবি ও গ্রন্থকার, যাহার কবিত্ব, পণ্ডিত্য ও প্রতিভায় অসাধারণ ছিলেন, তাহাদিগকে তুড়ি মারিয়৷ উড়াইয়া দিবেন ? সে অসম্ভব চেষ্টা করিবেন না, সে চেষ্টা করিলেও সফল হইবেন না । মাতৃভাল মায়ের মেহের মত সমস্ত মনগ্ৰাণে ছড়াইয়া আছে, পাষাণ চাপা দিলেও তাহার পুনঃপুনঃ অস্কুরোদগম হইবে । যাহারা আরবী, ফারসী অর্ণব উর্দুর বিষয়বস্থ লইয়া খাটি বাঙ্গলায় কাব্য লিখিয়াছেন, তাহাদের অবদান তুচ্ছ করিবার বিষয় নহে । আমি বলিয়াছি—কারবালার যুদ্ধ, এজিদের কথা প্রভৃতি যে-সকল বিষয় দুর দেশাগত, তাহ মুসলমান কবিরা বিদেশাগত অতিথির দ্যায় গৃহের বাহিরের একখান একচালায় স্থান দিয়া তৃপ্ত হন নাই, তাহার এমন ভাবে সেই সকল অতিথিকে গ্রহণ করিয়াছেন যে, তাহদের রূপ বদলাইয়৷ তাহারা বাঙ্গালী হইয়া গিয়াছেন- -র্তাহাদের ঢিলা পায়জামা ও বিদেশী কোৰ্ত্ত। আর নাই, লুঙ্গ কিংবা ধুতি পরিয়া সেই অভ্যাগতগণ একেবারে বাঙ্গালী সাজিয়াছেন । বাঙ্গালীর প্রাণ কত বড়, তাহ বাঙ্গল কাব্য পড়িলে বুঝা যাইবে, পরকে আপন করিবার যে যাদুমন্ত্র, তাঙ্গ তাহারা জানেন। র্তাহার। পরের কথা আপনার করিয়া লইয়াছেন । বিদেশী গান গাহিতে যাইয়া যেরূপ সুকণ্ঠ-গায়ক নিজের মধুবৰ্ষী-স্বরের মুৰ্চ্চনা দিয়া তাহা আলাপ করেন, বঙ্গীয় মুসলমান ফারসী বা উর্দুর অনুবাদ সেইরূপ মূলের দোহাই দিয়াও সেই সকল কাব্যকে দেশ-ত্ৰতে মণ্ডিত করিয়াছেন, ইহাই বাঙ্গালীর চিরন্তন প্রতিভা। বাঙ্গালী কখনই কোন প্রিয়-জিনিষকে দূর হইতে দূরবীণ দিয়া দেখিয়া তৃপ্ত হন না, তিনি তাহার
পাতা:প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান.djvu/৮৭
অবয়ব