পাতা:প্রাচীন মুদ্রা প্রথম ভাগ.djvu/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম পরিচ্ছেদ । نعي চূৰ্ণ ব্যবহার করিত। ক্রমে ওজনের সুবিধা এবং চূর্ণধাতু পরীক্ষার সময় সংক্ষেপ করিবার জন্য ধাতুনিৰ্ম্মিত মুদ্রার প্রচলন আরম্ভ হয়। অতি প্রাচীনকাল তইতে ভারতবাসিগণ ধাতুনিৰ্ম্মিত মুদ্র বিনিময়ের জন্য ব্যবহার করিয়া আসিতেছেন । হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈনগণের সর্বপ্রাচীন ধৰ্ম্মগ্রন্থসমূহে দেখিতে পাওয়া যায় যে, প্রাচীনকালে ভারতবর্ষে সুবর্ণ, রোপা ও তাম্ৰমুদ্রার বহুল প্রচলন ছিল । স্বর্ণমুদ্রার নাম সুবর্ণ বা নিস্ক, রজত মুদ্রার নাম পুরাণ বা ধরণ এবং তামমুদ্রার নাম কার্বাপণ ছিল। প্রাচীন ভারতে ও প্রথমে চূর্ণধান্ত বিনিময়ের উপকরণস্বরূপ ব্যবহৃত হইয়াছিল ! মন্ত্র প্রভৃতি ধৰ্ম্মশাস্ত্রে স্বর্ণ, রোপা ও তাম্র প্রভূতি ওজন করিবার যে সকল ভিন্ন ভিন্ন রীতির উল্লেখ আছে তাহা দেখিলে স্পষ্ট বঝিতে পাবা যায় যে, বিনিময়ের সুবিধার জন্য ভিন্ন ভিন্ন ধাতুর ভিন্ন ভিন্ন রীতি অবলম্বিত হইয়াছিল। ভারতবর্ষে রতি রক্তিক ধাতু ওজনের রীতিসমূহের মূল ছিল। মানবধৰ্ম্মশাস্ত্রে সুবর্ণ, রজত ও তান ওজনের ভিন্ন ভিন্ন রীতি লিপিবদ্ধ আছে : সুবর্ণ ওজনের রীতি । ৫ রতি - ১ মাষ । ৮ম রতি = ১৬ মাষা = ১ সুবর্ণ। ৩২০ রতি = ১৪ মাম্বা = ৪ মুবর্ণ = ১ পল বা নিষ্ক । ৩২০০ রতি = ৬৪০ মাম্বা = ৪০ সুবর্ণ = ১০ পল বা নিষ্ক = ১ ধরণ } রৌপ্য ওজনের রীতি । ২ রতি = ১ মাষক । ৩২ রতি = ১৬ মাৰ্যক = ১ ধরণ বা পুরাণ ৩২০ বৃতি = ১৬০ মাষক = ১০ ধরণ বা পুরাণ = ১ শতমান