পাতা:প্রাথমিক প্রতিবিধান - সুধীর চন্দ্র মজুমদার.pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 খিলান নামিয়া আসিয়া সমভূমি হয়, ফলে বক্ষের বিস্তৃতি ঘটে । প্ৰশ্বাসকালে ইহার ঠিক বিপরীত কাৰ্য্য হয়,--অর্থাৎ মাংসপেশী শিথিল হইয়া কুঞ্চিত হয়, পঞ্জরাস্থি নামিয়া পড়ে এবং ডায়াফ্রাম খিলান পূর্বের আকৃতি প্রাপ্ত হয়। এরূপে, ফুসফুসের উপর পাঞ্জরাস্থি ও ডায়াফ্রামের চাপ পড়ায় ফুসফুস কুঞ্চিত হয় এবং তন্মধ্যস্থ বায়ু নিৰ্গত হইয়া যায়। শ্বাসপ্রশ্বাসের যন্ত্র সাধারণ কথায় একটি হাপরের ফঁাতার ন্যায়। পঞ্জরান্থিগুলি যেন ইহার তক্তা, পঞ্জরাস্থি সংলগ্ন মাংসপেশী যেন ইহার চৰ্ম্মাবরণ, ডায়াফ্রাম যেন ইহার খিলান এবং শ্বাসনলী যেন এই যাতার মুখ । শ্বাসপ্ৰশ্বাস ক্রিয়ার উদ্দেশ্য । শোধিত শোণিত আটারি দ্বারা শরীরের মধ্যে প্রবাহিত হইয়া শরীরের দুষিত পদার্থের ( কাৰ্ব্বনিক অ্যাসিড গ্যাস প্রভৃতির) সহিত মিলিত হইয়া পোষণানুপযুক্ত হইয়া শিরা (ভেন) দ্বারা চালিত হইয়া পুনরায় হৃৎপিণ্ডে আসিয়া পৌছায়। এই দুষিত রক্তকে, ফুসফুসে নিঃশ্বাসের সহিত প্রবিষ্ট ভু-বায়ুর অক্সিজেনের সাহায্যে শোধিত করিয়া, পুনরায় দেহ পোষণোপ