পাতা:প্রায়শ্চিত্ত - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o প্রায়শ্চিত্ত করলি ? অবশেষে— সে রাজার ছেলে— তার হাতে বেড়ি না দিয়ে কি তুই ক্ষান্ত হবি নে ? স্বরমা । কোনো ভয় নেই মা ! বেড়ি এবার ভাঙল। আমি বুঝতে পারছি আমার বিদায় হবার সময় হয়ে এসেছে— আর বড়ো দেরি নেই। আমি আর দাড়াতে পারছি নে। বুকের ভিতর যেন আগুনে জলে যাচ্ছে । তোমার পায়ের ধুলো নিতে এলুম। অপরাধ যা-কিছু করেছি মাপ কোরো । ভগবান করুন, যেন আমি গেলেই শাস্তি হয় । [ পদধূলি লইয়া প্রস্থান মহিষী। ওষুধ খেয়েছে বুঝি। বিপদ কিছু ঘটবে না তো ? যে যা বলুক, বউমা কিন্তু লক্ষ্মী মেয়ে। ওকে এমন জোর করে বিদায় করলে কি ধর্মে সইবে ? বামী, বামী । বামীর প্রবেশ বামী। কী মা ? মহিষী। ওষুধটা কি বড্ড কড়া হয়েছে ? বামী । তুমি তো কড়া ওষুধেব কথাই বলেছিলে । মহিষী। কিন্তু, বিপদ ঘটবে না তো ? বামী । আপদবিপদের কথা বলা যায় কি ! মহিষী। সত্যি বলছি বামী, আমার মনটা কেমন করছে। ওষুধটা কি খেয়েছে ঠিক জানিস ? বামী । বেশিক্ষণ নয়, এই খানিকক্ষণ হল থেয়েছে । মহিষী। দেখলুম, মুখ একেবারে সাদা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। কী করলুম কে জানে ! হরি, রক্ষা করো বামী । তোমরা তো ওকে বিদায় করতেই চেয়েছিলে ! মহিষী । না না, ছিছি, আমন কথা বলিস নে। দেখ, আমি তোকে