পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৪ প্রেমিক-গুরু SAS SAAA AAAAMAMeeAMMAMAMAMAAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAA AAAA eeeeee eSeSeSAAAAAA AAAASAAAA আর কি প্রকারে রসের তত্ত্ব সম্যক অবগত হইয়া রসের ভাও-নিঃস্থত দরধারায় জ্বলিত-কণ্ঠ জীবের প্রাণ মুশীতল হয়,—তাহার সাধনতত্ত্ব যুগাবতার মহাপ্রভু শ্ৰীগৌরাঙ্গদেব ও তাহার ভক্তগণ কর্তৃক প্রচারিত হইয়াছে। যে পৰ্য্যন্ত জীব আত্মতত্ত্ব ভুলিয়া প্রাকৃত-বিষয় ভোগে আসক্ত থাকে, মায়ার সন্মোহনমস্ত্রে ভুলিয়া ভবের হাটে ছুটিয়া বেড়ায়, সে পৰ্য্যন্ত তাহার বদ্ধাবস্থা,—সুতরাং তাহাকে বদ্ধজীব বলা যাইতে পfরে। তৎপরে ভগবানের কৃপায় আত্মতত্ত্ব পরিজ্ঞাত হইয়া জীব রসানুসন্ধানে নিযুক্ত হয় । প্রথমতঃ মায়ামুক্ত হইতে চেষ্টা করিয়া শেষ রসসংপ্রাপ্তি পর্যস্ত জীবের যে সাধনা, সেই অবস্থাতে সাধকগণ হিন্দু ঋষিগণ কর্তৃক— “শাক্ত ও বৈষ্ণব” এই দুই নামে অভিহিত হইয়াছেন । কিন্তু আমাদের দেশে শাক্ত ও বৈষ্ণবে বহুদিন যাবৎ বিবাদ-বিসম্বাদ, দ্বন্দ্ব-কোলাতল হইয়াছে ও হইতেছে । উভয়বাদাই আপন আপন মতের প্রাধান্ত সংস্থাপনদন্ত বহু যুক্তি-প্রমাণ দেখাইয়াছেন । শাক্তগণ বলেন, “শক্তিজ্ঞানং বিনা দেবি মুক্তিহঁাস্তায় কল্পতে" অর্থাৎ শক্তি-জ্ঞান ভিন্ন মুক্তির আশা তাস্ত জনক ও বৃথা । আবার বৈষ্ণবগণ-শাস্ত্র-প্রমাণ দ্বারা দেখাইবেন যে, বৈষ্ণবই একমাত্র মুক্তির অধিকারী। পুথিবীর নানাদেশে নানাসম্প্রদায় আপন আপন ধৰ্ম্মভাবে বিভোর রহিয়াছে, দুঃখের বিষয় তাহারা বৈষ্ণব কিম্বা শাক্ত না হইলে মুক্তি লাভ করিতে পরিবে না। নিরপেক্ষ ব্যক্তিমাত্রেই বোধ হয় সাম্প্রদায়িক গোড়াদিগের এইরূপ প্রলাপোক্তি শুনিয়া হাস্ত সম্বরণ করিতে পারিবেন না । পরিধির সকলস্থান হইতে বৃত্তের কেন্দ্র যে সমদূরবত্তী—যত মত, তত পথ-প্রত্যেক ব্যাসাৰ্দ্ধ সমান, পরিধি বা ব্যাসাৰ্দ্ধ-স্থিত ব্যক্তি তাহ! কি