পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেম-ভক্তি ২৯ AASAASAAAS ভাবের অঙ্কুরমাত্র জন্মিয়াছে, সেই সকল ব্যক্তিতে ক্ষস্তি, অব্যর্থকলিতা, বিরাগ, মানশূন্ততা, আশাবদ্ধ, সমুৎকণ্ঠা, নাম গানে সৰ্ব্বদা রুচি, ভগবদ গুণকথনে আসক্তি এবং তদীয় বসতি স্থলে প্রীতি প্রভৃতি অনুভাব সকল প্রকাশ পায় । অন্তকরণের স্নিগ্ধতাই ভাবের লক্ষণ । ভক্তগণের ভেদবশতঃ এইভাব পাচ প্রকারে বিভক্ত হয় ; যথা – শাস্ত, দাস্ত, সখ্য, বাৎসল্য ও কাস্তা । ভগবান ভাবের বিষয়তারূপে এবং ভক্ত আধারস্বরূপে অালম্বন হয়েন । যাহারা নন্দ-যশোদাদি গুরুবর্গের , হ্যায়, অথবা শ্ৰীদাম-সুদামাদি বয়স্তবর্গের ন্যায় কিংবা গোপী-মহিষী দিগের দ্যায় ভগবানের সহিত ভাবের অনুকরণ করেন, তাহারা ভাবভক্তির অধিকারী। প্রথমতঃ সাধু শাস্ত্র মুখে ব্ৰজভাবের অসামান্ত মাধুর্ঘ্য শুনিয়া পঞ্চভাবের মধ্যে যে কোন একটী ভাব পাইবার জন্য লোভ সঞ্চার হয় । রাগাত্মিকৈ কনিষ্ঠা যে ব্রজবাসিজনাদয়ঃ । তেষাং ভাবাপ্তয়ে লুন্ধে ভবেদত্ৰাধিকারবান ॥ —ভক্তি-রসামৃত-সিন্ধু । রাগাত্মিকৈকনিষ্ঠ ব্ৰজবাসী ভক্তদিগের ভাবপ্রাপ্তির জন্ত লোভ জন্মিলেই মানব ভাবভক্তির অধিকারী হন। ভক্ত ভাবাবলম্বন করিয়া প্রথমতঃ সাধন-ভুক্তি দ্বারা বৈধমার্গানুসারে শ্রবণ-কীৰ্ত্তনাদি করিয়া থাকেন। ক্রমশঃ ভাবপুষ্টির সঙ্গে সঙ্গে ভক্ত জানিতে পারেন যে, ভগবান প্রকৃতই আমার প্রভু, পিতা,সখা,পুত্র অথবা স্বামী ; স্বকীয় ভাবানুসারে ভগবানকে ভাবের বিষয় বলিয়া নিশ্চিতরূপে নিৰ্দ্ধারিত হইলে, তাহার বুদ্ধি আর শাস্ত্রযুক্তির অপেক্ষা করে না । তখন তিনি মনে করেন যে, “সে আমার প্রাণ — আমার প্রাণের প্রাণ, তাহাকে পাইবার জন্ত কঠোর নিয়ম-সংযম, ব্ৰত