পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

se প্রেমিক-গুরু তৃণ হইতেও নীচ এবং বৃক্ষ হইতেও সহিষ্ণু হইয়া, নিজে অভিমান ত্যাগ করিয়া, পরকে সম্মান দিয়া সদা হরিনাম-কীৰ্ত্তন করিবে। পতিতপাবন দীন-দয়াল ঐগৌরাঙ্গদেবই এদেশে বিশেষভাবে হরিনাম-সংকীৰ্ত্তন প্রচার করিয়া গিয়াছেন । এইরূপে ভগবানের নাম লীলাকীর্তন-রূপ ব্ৰত যিনি অবলম্বন করিয়াছেন, তাহার সেই প্রিয়তম ভগবানের নাম-কীৰ্ত্তন করিতে করিতে হৃদয়ে অনুরাগের উদয় ও চিত্ত দ্রবীভূত হয় । সুতরাং তিনি তখন উচ্চৈঃস্বরে হাস্ত করেন, কখন রোদন করেন, কখন ব্যাকুল চিত্তে চাৎকার করেন, কখন গান করেন, এবং কখনও উন্মাদের ন্যায় নৃত্য করেন । চিত্তশুদ্ধির সাধন, সাধু সঙ্গ ও নাম-সংকীৰ্ত্তন করিতে করিতে আপন হইতেই ভক্তির উদয় হইবে । প্রথমতঃ শ্রদ্ধা উদয় হইয়া থাকে ; তখন সদগুরুর কৃপা আকর্ষণ করিয়া দীক্ষা-শিক্ষা গ্রহণ করতঃ উচ্চস্তরের সাধনায় নিযুক্ত হইবে । ভক্তির চতুঃষষ্টিপ্রকার সাধনা। مسسسسسس-8 هي سسسسسسسه ভক্তি সাধনার ধন , ভক্তি করিব বলিলেই ভক্তি করা যায় না। অভ্যাসে যেমন জগতে সমস্ত কায্য সম্পন্ন করা যায়, তেমনি ভক্তিও লাভ করা যায়,- কিন্তু ব্যাপার একটু কঠিন । সাধন-ভক্তিতে পূজা, জপ, হোম, ব্রত, নিয়মাদি করিয়া ভগবানে আত্মসমৰ্পিত হইতে হয় ; পূজা, অৰ্চনা, যাগ-যজ্ঞ ও স্তবকবচাদি দ্বারা ভগবানকে সাধনা করিতে হয়। অরুপকে সরূপ করিয়া, মূৰ্ত্তি গঠিয়া, চিত্র অকিয় তাহাকে ভজন করিতে হয়। র্তাহার লীলা শ্ৰৰণ, লীলাস্থান অর্থাৎ তীর্থাদি দর্শন, স্মরণ, মনন, ভাষণ প্রভৃতি সাধন ভক্তির অঙ্গ । অঙ্গ কাহাকে বলে,—