রা। আজ্ঞে হাঁ—তাহার সে বিশ্বাস যথেষ্ট ছিল। পুত্র তাহার গর্ভধারিণীর অপেক্ষা আমার ছোট স্ত্রীকেই অধিক ভাল বাসে এবং প্রায়ই তাহার নিকট থাকে।
আ। আজ বাড়ী ফিরিয়াই কি এ কাণ্ড দেখিতে পাইয়াছিলে?
রা। আজ্ঞে হাঁ—আটটার সময় বাড়ীর দরজায় আসিয়া দেখি, তখনও দরজা বন্ধ। কালী প্রায়ই রাবিশেষে শয্যা ত্যাগ করিয়া থাকে। আজ তাহার অন্যথা দেখিয়া-
বাধা দিয়া আমি জিজ্ঞাসিলাম, “তুমি কেমন করিয়া জানিলে যে সে শয্যা ত্যাগ করে নাই? তুমি ত পথে দাঁড়াইয়াছিলে?”
রাম তখনই উত্তর করিল, রৌদ্র উঠিবার আগেই সে রোজ সদয় দরজা খুলিত। আজ তাহা হয় নাই দেখিয়া সন্দেহ হইল। আমি চীৎকার করিয়া কালীকে ডাকিতে লাগিলাম। পুত্রীটিও মা, মা, বলিয়া চীৎকার করিয়া ডাকিতে লাগিল। কিন্তু কিছুতেই কালীর সাড়া পাইলাম না। ক্রমে বেলা হইতে লাগিল দেখিয়া আমি পার্শ্বের ডাক্তারখানা হইতে কম্পাউণ্ডার বাবুকে ডাকিয়া আনিলাম। তিনিও সন্দেহ করিলেন এবং আমাকে দরজা ভাঙ্গিয়া ভিতরে প্রবেশ করিতে পরামর্শ দিলেন। আমি,তাহাই করিলাম। ভিতরে প্রবেশ করিয়া তাড়াতাড়ি যেমন এই ঘরের ভিতর যাইতে উদ্যত হইব, অমনি কালীকে গলায় দড়ী দিয়া এই আড়কাটায় ঝুলিতে দেখিলাম। আমি হতবুদ্ধি হইয়া গেলাম। পরে পাঁচজনের সহিত পরামর্শ করিয়া পুলিশে সংবাদ দিলাম।
রামের কথা শুনিয়া আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “কম্পাউণ্ডার বাবু কোথায়? একবার তাঁহাকে এখাকে ডাকিয়া আন দেখি।”
দ্বিরুক্তি না করিঙ্গা রাম তথনই সেখান হইতে চলিয়া গেল