পাতা:প্রেমের জয় - চরণ চক্রবর্ত্তী.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २१ ] জিনিষ আছে সে বিষয় ইহার কস্মিনকালেও কিছু শুনে,নাই। ঘরের ভিতরে পোকা উড়িতেছে, মাছি ভ্যান ভ্যান করিতেছে, দুর্গন্ধের তো কথাই নাই । এই সকল লোকের আবার যখন স্ত্রী পুরুষে একসঙ্গে মদ খাইয়া মারামারি, কাটাকাটি করে, তখন যে কি বীভৎস ও ভয়ঙ্কর দৃশু হয় তাহ সহজেই কল্পনা করা যাইতে পারে। ইহাদের ভিতরে যাটতে প্রায় কাহার ও সাহস হয় না । কিন্তু মুক্তি-সেনার রমণীগণ এই জীবন্ত নরকে স্বৰ্গীয় পবিত্রতা বিস্তার করিবার জন্য, এই জীবন্ত রাক্ষসদিগকে মানুষ করিবার জন্ত বদ্ধ-পরিকর ই ইয়াছেন । র্তাহার। এই বিভীষিকাময় স্তানে বারমাস ত্রিশদিন বাস করিয়া পীড়িত দিগকে শুশ্রষ। করিতেছেন, শিশু সন্তানগণকে যত্নের সহিত দেখিতেছেন, বাড়ী ঘর কি প্রকারে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখিতে হয় তাহ দেখাইবার জন্ত আপনাদের হস্তে সম্মাজনী লইয়া গরিবলোকদিগের গৃহ পরিস্কার করিতেছেন । ইহারা প্রতিধুেশিনীদিগকে নীতির উপদেশ ও সংসারের সমস্ত বিষয়ে পরামর্শ দিয়া প্রকৃত মাতার কাজ করিতেছেন । বাস্তবিক মুক্তিফোর্জের এই সকল দেহরূপিনী ভদ্র মহিলারা কদাকার হতর লোকদিগের সঙ্গে যে রূপভাবে মিশেন, তাহাতে ইহাদিগকে গরিব দুঃণীর মা না বলিয়া থাকিতে পার।