পাতা:প্রেম-ভিখারিণী.djvu/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৬ প্রেম-ভিখারিণী" বঞ্চিতেছেন, পাগলিনীর মত অস্থিরা হইয়াছেন। আমি নরেন্দ্র ভিন্ন আর কাকেও জানি না, আমি আর কাহাকেও বিবাহ করিব না, দেখি—কে আমাকে বিবাহ দিতে পারে? উদ্দেশে-নরেন্দ্ৰ ! তুমি আমার স্বামী, তুমি আমার সর্বস্ব। আমি তোমাকে ভিন্ন এ জগতে আর কাহাকেও জানি না। আজ এই সম্যক্ বিপদের দিন তুমি কোথায় রছিয়াছ, একবার দেখা দাও। কোন উপায়ে আমাকে এই রুদ্ধ গৃহ হইতে উদ্ধার কর, আমি চিরকাল তোমার সহিত থাকিব। আমি পিতা মাত চাই না, আত্মীয় স্বজন চাই না, তুমি আমাক সৰ্ব্বস্ব। প্রাণের বন্ধু নরেন্দ্র ! কোথায় রহিয়াছ,—দেখিতেছ না, আজ আমার পিতা মাতা আমাকে নরকে প্রেরণ করিবার বন্দোবস্তু করিতেছেন। নরেন্দ্ৰ ! তুমি যদি এই সময়ে একবার দেখা কয়, তাহা হইলে বাচিয়া যাই। একবার মাত্র সাক্ষাৎ করিয়া এখনি মরিব । নবেঞ্জকে ভুলিয়া আমি বিবাহ করিব ? মনকে ধিক্কার দিয়া হা হা করিয়া হাসিয়া ফেলিলেন। কখন অনর্গল চক্ষু দিয়া অশ্রুধার বহিতেছে। সে অনিবাৰ্য্য বেগ সম্বরণ কৰুি না পরিয়া স্পষ্টই উভরিয়া কঁাদিতেছেন। হায় হায় সরোজিনীর ক্রনীনের কথা নবেন্দ্র একবারও জানিতে পারিলেন না । সরোজিনীর এই উন্মত্তত কি কেহই দেখিতেছেন না ? স্নেহময়ী জননী গবাক্ষদেশ হইতে, কন্যার এই শোচনীয় অবস্থা দর্শন করিতে করিতে ফ্রন্দন করিতেছেন। মাতা বুঝিয়াছেন, কস্ত যাহা বুঝয়াছে তাহাই প্রকৃত ধৰ্ম্ম-সঙ্গত কথা । জননী ভিন্ন সন্তানের অভাৰ কে বুৰিবে? সরোজিনীর ক্রানে, তাহার মাতার হৃদরে শত গ্রন্থি ছিন্ন হইয়া যাইতেছে। বিছের সময় উপস্থিত—সম্প্রদান হইবে। বরকত্ব মহাশষ সুবিনয়ে এ কথা অবগত করিলেন। রাত্রি এগারটা ৰাজিয়া গেল,