পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১৩২

 আমি কহিলাম, করুণা, এই সকল শুনিয়া তোমার নিমিত্তে বড় দুঃখিতা আছি, কিন্তু ইহা তোমার নিজ দোষ প্রযুক্ত ঘটিয়াছে। আমি প্রথমবার যখন তোমার গৃহে আইলাম, তখন আমার বিলক্ষণরূপে স্মরণ হয় যে নবীন সত্য কথা কহিল, সেই প্রযুক্ত তুমি তাহাকে চড় মারিয়া মিথ্যাবাদী বলিলা। পিতা মাতা যদি এমত কর্ম্ম করে, তবে সন্তানেরা কি প্রকারে ভাল হইয়া উঠিতে পারে?

 এই কথাতে করুণা দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ পূর্ব্বক কহিল, হাঁ! কি জানি আমারি দোষ হইয়া থাকিবে। কিন্তু ঐ বংশী আমার জ্যেষ্ঠ পুত্ত্র, এবং পাঁচ বৎসর পর্য্যন্ত আমার আর ছেল্যা হইল না, অতএব আমি স্নেহপ্রযুক্ত তাহাকে কখন শাসন করিতে পারিতাম না, এই নিমিত্তে সে এমত অবাধ্য বালক হইয়াছে।

 আমি বলিলাম, করুণা, আমরা যখনি ঈশ্বরের আজ্ঞা লঙ্ঘন করি, তখনি আমাদের দুর্দশা ঘটে। ঈশ্বর কহিয়াছেন, “বালককে শাসন করিতে নিবৃত্ত হইও না; তুমি দণ্ডদ্বারা তাহাকে প্রহার কর, তাহাতে তুমি তাহার প্রাণকে নরক হইতে রক্ষা করিবা।” হিতোপদেশ ২৩।১৩,১৪।