পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১৮০

সহিত সাক্ষাৎ করিব। পরে সে ফুলমণির প্রতি ফিরিয়া বলিল, এই বার যাইতেছি। ফুলমণি গো! আমি তোমার বক্ষঃস্থলে মাথা রাখিয়া মরিতে চাহি; তুমি সপরিবারে আশীর্ব্বাদ প্রাপ্ত হও। ও মেম সাহেব, ঈশ্বর আপনাকে আশীর্ব্বাদ করুন। হে প্রভো যীশু, আইস! তাঁহার বাম হস্ত আমার মস্তকের নীচে আছে, ও তাঁহার দক্ষিণ হস্ত আমাকে আলিঙ্গন করিতেছে। আহা! ঈশ্বরের প্রিয় লোকদের কেমন শান্তি! কেমন সুখ!

 এই বৃদ্ধা প্যারীর শেষ কথা, ফলতঃ ঐ বিশ্বস্ত দাসী এই সকল কথা বলিয়া আপন প্রভুর সুখের ভাগিনী হইতে লাগিল।

 আমি তাহার মৃত দেহের সুস্থির মুখ পানে চাহিয়া ক্রন্দন করিতে পারিলাম না, বরং যে আত্মা ঐ দেহ ত্যাগ করিয়া পলায়ন করিয়াছে, সেই আত্মার সুখ ও শান্তি ও গৌরবের অবস্থা মনে করিয়া উল্লাসিতা হইলাম। এই ক্ষণে সহস্র২ দূতগণ প্যারীকে স্বর্গের দ্বারে অভ্যর্থনা করিতেছে, যীশু তাহাকে স্বর্ণময় মুকুট পরাইতেছেন, এবং ঈশ্বর আপনি তাহার চক্ষের জল মুচাইয়া ফেলিতেছেন; ইহা নিশ্চয় জানিয়া আমি আহ্লাদ পূর্ব্বক উচ্চৈঃস্বরে কহিলাম, ধার্ম্মিকের ন্যায় আমার মৃত্যু