পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুক্তাগাছার আচাৰ্য্য-বংশ। Y 0GQ ঋরিতে পারিলাম না। একদা তাহাকে কোন এক মোকদ্দমায় অনিবাৰ্য্য কারণে বাধ্য হইয়া সাক্ষ্য দিতে নসিরাবাদে (ময়মনসিংহ টাউনে) গমন করিতে হয়। তৎকালে ময়মনসিংহ-যাতায়াতের পথ সুগম ছিল না। এবং জমিদার মহাশয়গণ সাধারণতঃ পান্ধী-যোগেই গমনাগমন করিতেন ; কারণ, মুক্তাগাছা হইতে ময়মনসিংহ দশ মাইল দূরবর্তী এবং অন্য কোন যান-বাহনাদির সুবিধা ছিল না। তিনি মৰ্য্যাদারীক্ষার জন্য পান্ধীবেহার সঙ্গে লইয়াছিলেন বটে, কিন্তু মনুষ্য-স্কন্ধে আরোহণ না করিয়া পদব্ৰজেই যাতায়াত করিয়াছিলেন। মোকদ্দমার দিবস অতি প্ৰত্যুষে মাঘের শীতল জলে অবগাহনপূর্বক আবক্ষ-নিমজ্জিত হইয়া যখন সন্ধ্যাতৰ্পণাদি ক্রিয়া নিম্পন্ন করিতেছিলেন, তখন একজন ইংরাজ হাকিম {যিনি হরিনারায়ণের মোকদ্দমার বিচারক ছিলেন)। অশ্বগৃষ্ঠে প্ৰাতভ্ৰমণে বহির্গত হইয়া হরিনারায়ণের এই অসাধারণ কাৰ্য্যের প্রতি লক্ষ্য করেন এবং তীরবর্তী খানসামার নিকট গমন করতঃ হরিনারায়ণের পরিচয় অবগত হইয়া তাহাকে সক্ষ্যের দায় হইতে অব্যাহতি দেন। তিনি যখন জমিদারী-কাৰ্য্য পৰ্য্যবেক্ষণ করিতেন তখন তাহার স্থাপিত বিগ্ৰহ ৬/গোপালদেব ঠাকুরের নামোচ্চারণ পূর্বক অর্থাৎ “গোপাল তুমি জান” এই বলিয়া নথিপত্রাদি দস্তখত করিতেন। বহুলোক তঁহাকে ঐশ্বরিক গুণসম্পন্ন মনে করিয়া তাহার নামে হাজত মানস করিত এবং হাজত-সম্পর্কিত। ফলগুলি যথাসময়ে তাহাকে দেওয়া হইত। তঁহার ধৰ্ম্মানুরাগ ও ধৰ্ম্মশান্ত্রের প্রতি প্ৰগাঢ় শ্রদ্ধার নিদর্শন— স্বরূপ প্রাচীন দীর্ঘ পঁথিগুলি আজও তাহার বংশধরগণের আবাসে সযত্বে রক্ষিত হইতেছে। হরিনারায়ণ আচাৰ্য্যের পরলোক-প্ৰাপ্তির পর তাহার চারি পুত্ৰ গঙ্গানারায়ণ, রামনারায়ণ, বিষ্ণুনারায়ণ এবং কৃষ্ণনারায়ণ মধ্যে কনিষ্ঠ পুত্ৰ কৃষ্ণনারায়ণকে হরিনারায়ণের কনিষ্ঠ খুল্লতাত কৃষ্ণচন্দ্ৰ (ছোট হিষ্ঠার