পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুদ্ধদেব। S. সমস্ত অঞ্চলের ভূগর্ভ হইতে প্ৰাচীন শিলালিপি ও মন্দিরাদি পাওয়া। গিয়াছে তাহদের অনেকগুলি বুদ্ধদেবের। কলিকাতায় ‘বৌদ্ধ চৈত্যবিহার’ নামে কলেজ স্কোয়ারের পূর্বে একটি প্ৰকাণ্ড মনোহর বিহার নিৰ্ম্মিত হইয়াছে এবং তথা হইতে “মহাবোধী” নামক ইংরাজী মাসিক পত্ৰ এবং নানাবিধ বৌদ্ধধৰ্ম্মসম্বন্ধীয় পুস্তক প্ৰকাশিত হইতেছে। সম্প্রতি রেভারেণ্ড অঙ্গারিকা ধৰ্ম্মপালের চেষ্টায় লণ্ডন সহরে একটি বৌদ্ধ বিহার প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। খ্ৰীষ্টান ও মুসলমানেরা যদিও বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্ৰতি আসক্ত নহেন, কিন্তু হিন্দুমাত্ৰই যে বুদ্ধদেবকে দশাবতারের অন্যতম অবতার বলিয়া পূজা করেন এবং বৌদ্ধদিগকে স্বজাতি বলিয়া স্বীকার করেন, একথা বলা বাহুল্য। আজ কলিকাতার এই অস্পৃশ্যতাবৰ্জন ও শুদ্ধি-আন্দোলনের দিনে বৌদ্ধধৰ্ম্ম আমাদের দেশের পক্ষে কত ষে প্রয়োজনীয় তাহা কে বুঝিবে ? বৌদ্ধধৰ্ম্মের বিস্তারের জন্য নানা ৰূপ চেষ্টা হইতেছে। সারনাথে যেখানে বুদ্ধদেব সর্বপ্রথম র্তাহার বাণী প্রচার করিয়াছিলেন, তথায় একটি বিহার ও সেই সঙ্গে একটি বিদ্যাপীঠ-প্ৰতিষ্ঠার চেষ্টা হইতেছে। ব্ৰহ্মদেশ ও সিংহলের বৌদ্ধের। কয়েকটি নগরের বৌদ্ধমন্দিরের ব্যয়াদি নির্বাহ করিতেছেন। মালাবারের বৌদ্ধ মিশনও যে উত্তরোত্তর উন্নতি-সোপানে আরোহণ করিবে: তাহার পরিচয় পাওয়া যাইতেছে। বুদ্ধগয়ার মন্দিরটি বৌদ্ধ ও হিন্দু উভয় সম্প্রদায়ের হাতে রাখিবার প্রস্তাব হইতেছে। প্ৰতি বৎসর মহ! সমারোহের সহিত বুদ্ধদেবের বার্ষিক উৎসব হইয়া থাকে। বৌদ্ধধৰ্ম্ম আজি আচরণীয় ধৰ্ম্মরূপে পরিগৃহীত না হইলেও প্রত্যেক হিন্দুই ইহার পারভাগ ও উপদেশ পালন করিয়া থাকেন।