পাতা:বংশ-পরিচয় (অষ্টম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R6tbr বংশ-পরিচয় । সঙ্গে তিনি একটি পয়সাও লন নাই। গঙ্গাস্নান করিয়া কালীপ্রসাদ মায়ের প্রসাদ গ্ৰহণ করিয়া উদগ্রীবভাবে পরমহংসদেবের আশাপথ চাহিয়া রহিলেন। রাত্রি ৯টার সময় রামকৃষ্ণদেব আসিয়া উপস্থিত হইলেন। পরদিন রামকৃষ্ণদেবের নিকট কালী আপন অভিপ্ৰায় জানাইবা মাত্র পরমহংসদেব কালীকে লইয়া উত্তরদিকের বারাণ্ডায় যাইয়া বসিলেন এবং কালীর জিহ্বায় আপন অঙ্গুলি দিয়া মূলমন্ত্র লিখিয়া দিলেন। কালীর বক্ষে হস্ত দান করিবামাত্ৰ কালী যেন নবজীবন লাভ করিলেন। অতঃপর বাটীতে ফিরিয়া আসিয়া কালী প্ৰতি সপ্তাহে দুই তিনবার করিয়া দক্ষিণেশ্বরে যাইতে লাগিলেন। তৎপর বৈরাগ্যের তীব্ৰতা আসিয়া কালীর জীবনকে সংসারের প্রতি বীতশ্রদ্ধ করিয়া তুলিল। কালী অতি ঘন ঘন দক্ষিণেশ্বরে যাতায়ােত আরম্ভ করিলেন এবং সর্বদা রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সঙ্গে সঙ্গে থাকিতেন । ১৮৮৫ সালের এপ্রিল মাসে পরমহংসদেবের গলায় অসুখের সঞ্চার হয়, সেই সময়ে পরমহংসদেব শ্যামপুকুরের বাসায় আসিয়া বাস করিতে থাকেন। যেদিন পরমহংসদেব শ্যামপুকুরের বাসায় আসেন, কালীও সেইদিন সংসার ত্যাগ করেন। নরেন্দ্ৰ ( স্বামী বিবেকানন্দ ) ও কালীতে এই সময়ে যে সৌহার্দ্য হয় তাহা নরেন্দ্রের শেষজীবন পৰ্য্যন্ত অব্যাহত ছিল। পরমহংসদেব কালীকে অত্যন্ত ভালবাসিতেন এবং অনেক সদুপদেশ প্ৰদান করিতেন। এই সময়ে কালী ইংরাজী দর্শনশাস্ত্ৰ অধ্যয়ন করিতেন। ১৮৮৬ সালে ভগবানবতারগ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণদেব মহাসমাধিতে শয়ন করিলে নরেন, রাখাল, কালী প্রভৃতি র্তাহার পূত দেহের অগ্নিসৎকার করেন। তার পর কালী পরিধানে গেরুয়া, কৌপান ও বহিৰ্ব্বাস এবং হাতে, এক কমণ্ডলু লইয়া বৃন্দাবন যাত্রা করেন। শ্ৰীশ্ৰীমাতা সারদা দেবী, যোগেন, লাটু প্ৰভৃতিও যান। তথা হইতে ফিরিয়া আসিয়া কালী বরাহনগর মঠে অবস্থান করিতেন। সুরেশচন্দ্ৰ মিত্র মহাশয় মাসিক ১১২ টাকা ভাড়ায়ু