VS ३अ-*ब्रि5भ । রোগে জীৰ্ণ হইয়া পড়েন, কিন্তু তিনি পুত্রবধূদের রন্ধন করা দ্রব্য খাইতেন না। একদিন ডাক্তার শ্ৰীযুক্ত কেদারেশ্বর আচাৰ্য্য বলেন, “আপনারা পাচ ভাই মাকে দুটা রাধিয়া দিতে পারেন না ?” অপর ভ্রাতারা এ কথায় মনোযোগ না দিলেও সুরেন্দ্রনাথ তদবধি মাতার মৃত্যু পৰ্য্যন্ত প্ৰত্যহ স্বহস্তে পাক করিয়া তাহাকে খাওয়াইয়াছিলেন। মাতার মৃত্যুর পর ১৩০৪ সালে সুরেন্দ্রনাথের স্ত্রীবিয়োগ হয়। একমাস দশদিনের একটী কন্যা ও আড়াই বৎসরের একটী কন্যা রাখিয়া ভাগ্যবতী বিরাজমোহিনী সতীলোকে প্ৰস্থান করেন। সুরেন্দ্ৰ স্ত্রীর শোকে এত অধীর হইয়া পড়েন যে, ব্যবসায় ত্যাগ করিয়া আড়াই বৎসরের শিশু কন্যাকে বুকে লইয়া বৎসরের পর বৎসর দেশে দেশে ঘুরিয়া বেড়াইতে থাকেন। এত তিতিক্ষণ উপস্থিত হয় যে, ২৩ বৎসর এইরূপ ঘূরিয়া বেড়াইয়া তৎপর আর ওকালতি ব্যবসা করিবেন না বলিয়া চাকুরী গ্ৰহণ করেন। কিন্তু তঁহার দ্বারা ভগবান অনেক কাৰ্য্য আদায় করিবেন, সুতরাং তঁহাকে চাকুরীতে থাকিতে দিবেন। কেন ? কাজেই চাকুরী ছাড়িয়া পুনরায় পূর্ণ উদ্যমে ওকালতি আরম্ভ করিয়া শীঘ্রই তাহার কৃতিত্ব প্ৰতিষ্ঠিত করিলেন। সুরেন্দ্ৰনাথ আর দ্বিতীয়বার দার-পরিগ্রহ করেন নাই। তিনি বিপত্নীক জীবন যাপন করিতেছেন। তঁহার পুত্রসন্তান নাই। দুইটী কন্যা রাখিয়া তাহার স্ত্রী পরলোক গমন করেন। তিনি কন্যা দ্বয়ের বিবাহ মহাসমারোহের সহিত দিয়াছিলেন। জ্যেষ্ঠ কন্যা শ্ৰীমতী পুষ্পমালার বিবাহ রাজসাহী জিলার মাধবপুর-নিবাসী জমীদার শ্ৰীবরদাগোবিন্দ সেনের মধ্যম পুত্ৰ শ্ৰীমানা যতীশগোবিন্দ সেনের সহিত এবং কনিষ্ঠা কন্যা শ্ৰীমতী অশ্রুমালার বিবাহ যশোহর জিলার ইতনা গ্রামের শ্ৰীমান অনুকুলচন্দ্র সেন গুপ্তের সহিত দেন। জ্যেষ্ঠ জামাতা