পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাতোয় রাজবংশ হাতোয় রাজবংশ “বাগোছিয়া” বংশোদ্ভূত ব্ৰাহ্মণ। ইহারা ত্ৰিকৰ্ম্মান্বিত ব্ৰাহ্মণ ; সাধারণতঃ ইহাদিগকে ভূইয়ার ব্ৰাহ্মণ বলে। পরশুরাম নিক্ষত্ৰিয় করিয়া ক্ষত্ৰিয় রাজাদের শূন্য স্থানে যেসমস্ত ব্ৰাহ্মণ রাজাকে প্ৰতিষ্ঠাপিত করিয়াছিলেন ইহার সেই ব্ৰাহ্মণদিগের বংশধর। ইহাদের পূর্বপুরুষগণ জপ তপস্যা করায় জমি প্রভৃতি জায়গীর পাওয়ায় তঁহাদিগকে ভুইয়ার ব্ৰাহ্মণ বলে। সৎ ব্ৰাহ্মণের যেভাবে ধৰ্ম্মকৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করে ইহারাও সেইরূপ ধৰ্ম্মকৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করিয়া থাকেন। কাশীর রাজা, বেতিয়ারাজ, টিকারীরাজ, হাতোয়ারাজ, তামকুই-রাজ, সেওহার রাজা, লালগোলার রাজা, ধানবারের রাজা সকলেই ভুনিয়ার-জাতীয় ব্ৰাহ্মণ । উৎপত্তি এই বংশের আদিপুরুষ রাজা বীর সেন হইতে বৰ্ত্তমান মহারাজা ১০৩ ংখ্যক বংশধর। বুদ্ধদেবের সময়ে ষষ্ঠ শতাব্দী হইতে এই বংশ রাজত্ব করিয়া আসিতেছেন। রাজপুত চরণদিগের কবিতা হইতে এই বংশের ইতিহাসের কতকটা আভাষ পাওয়া যায়। এই বংশের ৯৯ সংখ্যক রাজা ফতে সাহী ব্রিটিশ গবমেন্টের বিরুদ্ধে ১৭৬৭ খৃষ্টাব্দে যুদ্ধ ও বিদ্রোহ ঘোষণা করেন । তদবধি এই বংশের প্রকৃত ইতিহাস পাওয়া যায়। এই বংশের ৮৬ সংখ্যক রাজা কল্যাণমল প্ৰথমে মহারাজা উপাধি প্ৰাপ্ত হন । তিনি আপন নামানুসারে কল্যাণপুর নামক একটি স্থান নির্বাচন করিয়া সেখানে তঁহার রাজধানী স্থাপন করেন । এই কল্যাণপুরে এখনও তঁহার দুর্গের ধ্বংসাবশেষ ও একটি প্ৰকাণ্ড বিস্তীর্ণ কুপের ংসাবশেষ বিদ্যমান আছে। সম্রাট আকবরের সময়ে ১৬০০ শত,