98 ၃ရ-Ptifချွဲရွှံ့ প্ৰতিষ্ঠা করেন এবং কলুটোলার বাড়ী পরিত্যাগ করিয়া শিবনাথ প্ৰভৃতির সঙ্গে প্ৰথমে বেলঘরিয়া, পরে কাঁকুড়াগাছির এক বাগানে অবস্থান করেন । তখন সকলে স্ব স্ব ব্যয় নির্বাচ্চ করিয়া একান্নভুক্ত পরিবারেব হ্যায় বাস করিতেন। শিবনাথ কেশববাবুর স্ত্রীকে ইংরাজী পড়াইতেন । শিবনাথ কলেজের পাঠ শেষ করিযা ওকালতী করিবেন, ইহাই তাহার সঙ্কল্প ছিল, সেইজন্য তিনি তিন বৎসর লা লেকচাৰ শুনিয়া শেষ করিয রাখিয়াছিলেন । কিন্তু বি-এ পাশ করিবার পর শিবনাথের মনে আর এক বাসনার উদয় হইল ; তিনি ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার করিবেন-এই আশায় ভারতাশ্রমে প্ৰবেশ করিলেন । ১৮৭২ খ্ৰীষ্টাব্দে শিবনাথ এমএ পাশ করিয়া বাহির হইয়াই নব-প্রতিষ্ঠিত মহিলা বিদ্যালষে শিক্ষকতা গ্ৰহণ করিলেন এবং সপরিবারে তথায় বাস করিতে লাগিলেন । র্তাহার স্ত্রীপুত্রের ভরণ-পোষণের নিমিত্ত কিছু অর্থ দেওয়া হইত। কিন্তু কেশবের সহিত শিবনাথের বেশী দিন সম্প্রতি থাকিল না । দ্বারকানাগুণ গাঙ্গুলী প্ৰভৃতি তখন স্ত্রীস্বাধীনতার জন্য প্ৰবল আন্দোলন আরম্ভ করিলেন । শিবনাথ তাহাতে যোগ দিলেন এবং পর্দার বাহিরে স্ত্রীলোকদের বসাইয। বহুবাজার স্ট্রীটে অন্নদাচরণ খাস্তগিরের বাটীতে নব্য সম্প্রদায়ের ষে উপাসনা চলিত তাহাতে উপাসনা করিতে লাগিলেন । কেশব ইহাতে শিবনাথের উপর রুষ্ট হইলেন । কেশববাবুর সহিত শিবনাথের মনোমালিন্যের আর একটি কারণ এই ছিল যে, কেশবচন্দ্ৰ তাহার আদেশকে “ভগবৎ আদেশ’’বলিয়া গ্ৰহণ করিবার জন্য আদেশ দিয়া ছিলেন । শিবনাথ দেখিলেন, ইহাতে চিত্তের স্বাধীনতা নষ্ট হয়, তাই শিবনাথ কেশবচন্দ্রের আদেশ পালন করিতে স্বীকৃত হইলেন না । অধিকন্তু এই বিষয় লইয়া কেশবের সহিত তর্ক-বিতর্ক করায় কেশব মনে মনে শিবনাথের উপর আরও রুষ্ট হইলেন । কেশবের আদেশ র্যাহারা ঈশ্বরাদেশ বলিয়া না মানিতেন,তাহারাই কেশবের বিরাগভাজন হইতেন ।
