अद्भव अफ्रिांद्र ܟܠ চারি পুত্ৰ-নন্দলাল, ব্রজলাল, সাতকড়ি ও মৃত্যুঞ্জয় । রামগোবিন্দবাবু অক্লান্ত পরিশ্রম ও যত্নসহকারে সমস্ত কাৰ্য্য পৰ্য্যালোচনা করিতেন। ফলে কিছু দিন পরে তঁহার স্বাস্থ্যভঙ্গ হইল। তিনি কনিষ্ঠ ভ্ৰাতার হাতে সমস্ত ভার দিয়া জীবনের অবশিষ্ট কাল ভগবানের নাম স্মরণ করতঃ মৃত্যুকালে কনিষ্ঠ পুত্ৰ মৃত্যুঞ্জয়কে রাখিয়া ৫২ বৎসর বয়সে ১২৪৮ সালে পরলোক গমন করেন । তাহার আদ্যশ্ৰাদ্ধ অতি সমারোহের সহিত সম্পন্ন হইয়াছিল। জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার মৃত্যুর পর রামকেশববাবু মৃত্যুঞ্জয়কে নিজ পুত্রবৎই জ্ঞান করিয়া পুত্রের ন্যায় দেখিতে লাগিলেন এবং মৃত্যুঞ্জয়বাবুর নামে কেশনও কোনও সম্পত্তি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করিয়া দিলেন। কিন্তু তিনি তাহার ভ্রাতৃশোক হৃদয হইতে কিছুতেই অপনোদন করিতে না পারিয়া এতই অধীব সইয়াছিলেন যে, তিনি তাহার এই বিস্তৃত কাৰ্য্যগুলি নিজে পরিদর্শনে অশক্ত হইয়া যথাযোগ্য স্বনামধন্য উদারচেতা মনীষী ও যশস্বী পুত্ৰ অনন্তলালের এবং ভ্রাতুষ্পপুত্ৰ মৃত্যুঞ্জয়ের হস্তে জমিদারী আদি ও মহাজনী কারবার প্রভৃতি অৰ্পণ করিয়া জীবনের অবশিষ্ট সময় ধৰ্ম্মপ্রবণ আপনাকে হরিপাদপদ্মে স্থান দিবার ইচ্ছায় হরিগুণগানে সমািধ অতিবাহিত করিয়া নিজ জীবনকে শ্ৰীহরির পাদপদ্মে ১২৬৫ সালে মিলিত করেন। তঁহার আদ্যশ্রাদ্ধ অনেক অর্থব্যয় দ্বারা সম্পাদিত হইয়াছিল। অনন্তলাল বঙ্গাব্দের ১ ২ ৩০ সালে জন্মগ্রহণ করেন । অনন্তলালই বরলা জমীদার-বংশের স্থাপনকৰ্ত্তা । শৈশবে ও কৈশোরে উপযুক্ত শিক্ষালাভ করিয়া অনন্তলাল নিজ বুদ্ধিবলে ও অসাধারণ অধ্যবসায়-গুণে র্তাহার কৰ্ম্মবহুল জীবনে প্ৰায় সমস্ত জমিদারী ও তালুকাদি খরিদ করিয়া স্বনামপুরুষধন্য হইয়াছিলেন। নিরহঙ্কারিতা, সৰ্ব্বজীবে দয়া, ক্ষমা ও আড়ম্বর-শূন্যতা তঁহার চরিত্রের অলঙ্কার ছিল। তিনি যেমন সদগুণান্বিত ছিলেন তদ্রুপ ধাৰ্ম্মিকও ছিলেন। জ্যেষ্ঠতাতের e
