পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বংশ-পরিচয় ولا9K؟ অপর কত্ত্বক নিৰ্য্যাতন-ভয়ে তাহার আশ্রযপ্রার্থী হইলে তিনি তাহাকে রক্ষার জন্য অকাতরে অর্থব্যয করিতে কুষ্ঠিত হইতেন না। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন । রঙ্গলালবাবুর জীবিতকালেই তঁহার কনিষ্ঠ ভ্রাতা বিষ্ণুলালের মৃত্যু হয। বিষ্ণুবাবুর মৃত্যুর পর তিনি ভ্রাতুষ্পত্রিগণকে লইয়া সমগ্ৰ এষ্টেটের কাৰ্য্য পরিচালনা করিতে থাকেন। তাহার জীবিতাবস্থায় তাহার ভ্রাতুষ্পপুত্ৰ কমলাকান্তের মৃত্যু হয। তিনি মৃত্যুর কিছুকাল পূর্বে নিজের জমিদারী আদি ভাগ করিয়া লইযা পৃথকভাবে বসবাস করিতেন। সন ১৩৬২ সালে তাহার মৃত্যু হয়। এক্ষণে র্তাহার স্ত্রী ভোলানাথবাবুর নিকট হইতে জীবনস্বত্বে স্বত্ববান হইয়া বাৎসরিক এক হাজার টাকা লাভের জমিদারী ও তালুকাদি ও জোঁত-জমি লইয়া পৃথকভাবে অবস্থান করিতেছেন । বিষ্ণুলাল ১২৬৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন । বিষ্ণুবাবু যদিও কোন উপাধিধারী ছিলেন না, তথাপি তাহার বুদ্ধিমত্তা, সৌজন্য, ও সহৃদয়তাগুণে তিনি কনিষ্ঠ হইযও জমিদারী যশোর সহিত পরিচালনা করিতেন। তিনি বিশেষ বুদ্ধিমান ব্যক্তি ছিলেন ; তৎকালীন প্ৰধান প্ৰধান ব্যক্তিগণ র্তাহার পরামর্শ লইয়াৰ কাৰ্য্য করিতেন । আশ্রিতপালন তঁহার প্রধান ধৰ্ম্ম ছিল । তিনি নিজের সৌজন্য ও প্ৰশান্তচিত্ততার প্রভাবে তাহার প্রজাবর্গের ভক্তি ও শ্ৰীতি আকর্ষণ করিযছিলেন । তিনি একরূপ উদারচেতা ছিলেন যে, তাহার রাজ্যের প্রজা ও অপর সাধারণ ব্যক্তি র্তাহাকে আপনি বলিয়া জানিতে । তিনি বহুদিন যাবৎ রামপুরহাট মহকুমার অনারারী ম্যাজিষ্ট্রেট ছিলেন এবং তৎকালে প্ৰায়ই বড় বড় জটিল মোকদ্দমা নিস্পত্তির জন্য তিনি আদালত হইতে সালীশ নিযুক্ত হইতেন। বিষ্ণুবাবু নিরাভিমান ব্যক্তি ছিলেন। তঁহার সহিত কাহারও মতভেদ ঘটিলে তিনি তাহার জন্য কোন তর্ক না করিয়া বীরভাবে বিবেচনা করিয়া যাহা সৎ তাছাই করিতেন । তিনি শীতকালে