পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডাঃ জলধর মণ্ডল, এলএম-এস SY হইতেই তিনি তাহার অসাধারণ ধীশক্তির জন্য প্ৰশংসিত হইতেন । “নিম্ন প্ৰাথমিক, উচ্চ প্ৰাথমিক ও মধ্যবাঙ্গালা পরীক্ষায় তিনি উচ্চ বৃত্তি পাইযাছিলেন এবং এনট্ৰান্স পরীক্ষায় ধান্যকুড়িয়া উচ্চ ইংরাজী বিদ্যালয হইতে ১০২ টাকা বৃত্তি পাইয়াছিলেন। পরে ডাফ কলেজ হইতে এফ-এ পাশ করিয়া কলিকাতা মেডিকেল কলেজে ভৰ্ত্তি হন এবং সসন্মানে এলএমএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। সুবিখ্যাত অস্ত্ৰ-চিকিৎসক ললিতমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুপ্ৰসিদ্ধ কবিরাজ যামিনীভূষণ রায় প্রভৃতি ঠাঙ্গার সহপাঠী ছিলেন। ছাত্রজীবনে ইহারা সকলেই কলেজের প্রসিদ্ধ ছাত্র ছিলেন । কলেজ হইতে বাহির হইযা প্ৰথমেই তিনি এক মহা-সমস্যান্য নিপতিত হইলেন । এ সমস্যা চাকুরীর অভাবের জন্য নহে। কারণ,- তখনও চাকুরীর বাজার এত মন্দ হয নাই । বিশেষতঃ চিকিৎসাপ্যবসাবীদিগের কন্মক্ষেত্রে যথেষ্ট সন্মান ছিল । তিনি নানাস্থান হইতে উচ্চ বেতনের চাকুরীর অঙ্গীকার পাইলেন বটে কিন্তু সহসা কোন স্থানে *{াত্মনিয়োগ করিলেন না । যখন তিনি তাহার স্বীয় জীবনের আদর্শের কথা ভালরূপে ভাবিতে লাগিলেন তখন अन्यङ्गर्भि এবং তাহার চতুস্পার্শ্বস্থ পলিগ্ৰাম গুলির সুচিকিৎসকের অভাবের জন্য শোচনীয় দুরবস্থা তাহার প্রাণকে ব্যাকুল করিয়া তুলিল । বাল্যকাল হইতেই তিনি এই অভাব সন্মে মৰ্ম্মে অনুভব করিতেন এবং বিশেষতঃ দরিদ্রগণের অসামর্থ্য তাহার প্ৰাণে গভীর রেখা অঙ্কিত করিয়া দিয়াছিল । তাই তিনি স্থির করিলেন যে, জগদীশ্বর যখন তাহাকে চিকিৎসক হইবার সুযোগ দিয়াছেন তখন পল্লীগ্রামেই তাহার কম্মক্ষেত্র নির্বাচন করিবেন। এই সময়ে তাহার প্রাণের আশা ফলবতী হইবার সুযোগ ঘটিল । স্বৰ্গীয় রায় উপেন্দ্ৰনাথ সাউ বাহাদুরের প্রতিষ্ঠিত “শু্যামাসুন্দরী দাতব্য চিকিৎসালয়ে” তিনি চিকিৎসকের পদ গ্ৰহণ করিবার জন্য আহুত