পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y 8 বংশ-পরিচয় যাইত না এবং তিনি কোন বিভেদও মানিতেন না। তাই তিনি গ্রামে গ্রামে কীৰ্ত্তন, নাম-গানের উপদেশ দ্বারা অনেক লোককে বৈষ্ণব DBDSDD DCD LLLBB BDBSDLD KBBODBB S তিনি ধান্যকুড়িয়ায় শ্ৰীশ্ৰী৬/রাধাকান্তের মন্দিরে ভক্ত-মণ্ডলী লইয “সাধন-চক্র’ রচনা করেন। এই রণচক্রে’ বহুদূর হইতে ভক্ত-মধুপের সমাগত হইত। ঐ মন্দিরে ভাগবত সভা স্থাপন করিয়া ধৰ্ম্মালোচনার ব্যবস্থা করিয়াছিলেন । তঁহার পরলোক গমনে, ‘ভক্ত-নিৰ্য্যাতন” নামক প্ৰবন্ধে সুপ্ৰসিদ্ধ বৈষ্ণবাচাৰ্য্য শ্ৰীমৎ পণ্ডিত রসিক মোহন বিদ্যাভূষণ মহাশয় যাহা লিখিয়াছিলেন তাহা হইতে কিঞ্চিৎ উদ্ধত হইল :-

  • * * “ডাক্তার জলধর মণ্ডল আমাদের পরম স্নেহের অমূল্যধন । আমরা সেই অমূল্যধন-হারা হইয়া দীনাতিদীন হইয়া পড়িলাম। ধান্য কুডিয়ায় যাহঁয়া আমরা শ্ৰীবৃন্দাবনীয় আনন্দ উপভোগ করিতাম * * * তাহার সহজ সৌম্য সুমধুর আকারে, সুধামধুর ভাষায়, ভক্তোচিত চিত্তাকর্ষ-সবিনয় ব্যবহারে, সর্বোপরি তাহার শ্ৰীনাম কীৰ্ত্তন ও রসকীৰ্ত্তনের গোলক-বৈভবরাপ কলিতানে আমরা প্ৰেমানন্দে বিমুগ্ধ হাইতাম । * * * তিনি তঁহার স্বগ্রামবাসিগণের রোগশয্যার বন্ধু ছিলেন না, তিনি কেবল তাহাদিগের দৈহিক রোগের চিকিৎসক ছিলেন না-তিনি ভক্তি-কথায় তাহদের হৃদয়ে গোলাকরসের রসায়ন সঞ্চারিত করিতেন, তাহদের হৃদয়ের মলিনতা দূরীভূত করিতেন, হরিকথা ও হরিনামে তাহদের দুৰ্জয় ভবরোগ খণ্ডনের মহাসহায় ছিলেন । গ্রামবাসীর প্রত্যেক সদানুষ্ঠানে যোগ দিয়া সকল কাৰ্য্যের সাফল্য সম্পাদনা করিতেন, ধনী, দরিদ্র, ব্ৰাহ্মণ, শূদ্র সকলের ঘরেই তিনি পরোপকার্যময় হস্ত প্রসারিত করিয়া সকলেরই সর্ববিধ সাহায্যে সর্বদাই ব্ৰতী হইতেন । * * * রোগীর শয্যাপার্থে প্রীতি-প্ৰফুল্ল-বদনে উপস্থিত হওয়ামাত্র তাহাকে দেখিয়াই রোগার রোগষাতনার অৰ্দ্ধমাত্র তৎক্ষণাৎ