পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাদেবপুর ছোটতরফ (রায়চৌধুরী) জমিদার-বংশ ১৯৯ ভারতে ঘোষণাপত্র প্রচার করেন। সেই উপলক্ষে বাঙ্গালার তদানীন্তন ছোট লাট স্যার রিচার্ড টেম্পল ১৮৭৭ খৃষ্টাব্দের ১লা জানুযারী তারিখে শ্যামানাথ রায়কে বাঙ্গালার অন্যতম প্ৰাচীন ভূস্বামী বলিয়া একখানি সাটিফিকেট অব অনার প্রদান করেন। ঐ সার্টিফিকেটে লিখিত etcrp-In recognition of his performance of the duties of a large landed proprietor of ancient family' effe প্ৰাচীন বংশসস্তৃত এই ভূস্বামী বিস্তীর্ণ জমিদারীর পরিচালনায় যে কৰ্ত্তব্য পালন করিয়াছেন তাহার জন্য তঁহাকে এই সাটিফিকেট প্রদত্ত হইল । মহাদেবপুরের জমিদার মহাশয়গণ সিপাহী বিদ্রোহের সময় ভারত সরকারকে বিশেষ সহায়তা করেন। বৃটিশবাহিনীর তিব্বত অভিযানের সময় যখন সেনাদল মহাদেবপুর জমিদারীর এলাকা দিয়া গমন করে সেই সময় জমিদার মহাশয়গণ তাহাদিগকে প্রচুর রসদ জোগাইয়াছিলেন এবং তাহাদিগের সুখের জন্য যথোপযুক্ত বন্দোবস্ত করিয়াছিলেন । এতদ্ব্যতীত অন্য সময়েও তঁাহারা সরকারের যথেষ্ট সাহায্য করিয়াছিলেন । স্বধৰ্ম্মে আনুরাক্ত এই বংশের রামেশ্বর রায়, বীরেশ্বর রায় প্রভৃতি হিন্দুধৰ্ম্মে বিশেয অনুরক্ত ছিলেন। প্ৰায় সকল মৌজায় ইহারা বিগ্ৰহ স্থাপন করিয়াছিলেন এবং পূজা-ভোগাদির জন্য দেবোত্তরস্বরূপ বহু ভূমি দান করিয়া গিয়াছেন। মুসলমানদিগের মসজিদ প্রভৃতি স্থান রক্ষার্থ অনেক পীরোত্তর ভূমিও ইহারা স্বজন করিয়া গিয়াছেন। এই বংশের পূৰ্বপুরুষেরা ধৰ্ম্মে যেরূপ নিষ্ঠাবান ছিলেন প্ৰজারঞ্জনেও ইহারা তদ্রুপ সুযশঃ লাভ করিয়াছিলেন । জমিদারীর মধ্যে কখনও কোন অশান্তির সৃষ্টি হয় নাই। এই বংশের পূর্বপুরুষদিগের স্থাপিত অনেকগুলি বিগ্ৰহ বর্তমানে রাজসাহীর বরেন্দ্র রিসার্চ সোসাইটী-গৃহে রক্ষিত হইয়াছে।