পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বংশ-পরিচয় وچ 83 প্ৰকাশের জন্য আমার কথাগুলিকে অনর্থক বাড়াইতে চাহি না । ভদ্রমহোদয়গণ, এক্ষণে আমি আমার সম্মানভাজন অতিথি স্তর এনদ্রু ও লেডী ফুেজারের স্বাস্থ্যের কল্যাণ-কামনা করিতেছি।” মহারাজার একমাত্ৰ কন্যার মৃত্যু মহারাজা শ্ৰীরামচন্দ্রের একমাত্ৰ কন্যা শ্ৰীপদমঞ্জরী যেমন অপরূপ সুন্দরী, তেমনই গুণবতী ছিলেন । ৭/৮ বৎসর বয়সে ইংরেজীতে অনর্গল কথা কহিতে পারিতেন । বারিপদ হাই স্কুলের পারিতোষিকবিতরণ-উপলক্ষে সভাপতি স্তর এনদ্রু ফ্লেজার ও অন্যান্য মাননীয় অতিথিবর্গের সম্মুখে শ্ৰীপদমঞ্জরী একটি ইংরেজী কবিতা এরূপ সুন্দর আবৃত্তি করিয়াছিলেন এবং উহার উচ্চারণ পৰ্য্যন্ত এরূপ শুদ্ধ হইয়াছিল যে, সকলেই তঁহার প্রশংসা করিয়াছিলেন । ১৯০৬ খৃষ্টাব্দের মার্চ মাসে ইহার টাইফয়েড রোগ হয়। কলিকাতা হইতে ভাল ভাল ডাক্তার আনাইয়া চিকিৎসা করানো হয়। রোগ প্ৰথমে সারিয়া যায়। কিন্তু পরে আবার আক্রমণ করে। তাহাতেই ১৯০৬ খৃষ্টাব্দের ৯ই এপ্রিল তারিখে শ্ৰীপদমঞ্জরীর মৃত্যু হয়। ইহার মৃত্যুতে মহারাজা শ্ৰীরামচন্দ্ৰ অত্যন্ত শোকাভিভূত হইয়া পড়িয়াছিলেন। মৃত্যুর পূর্ব মূহুর্তে তিনি তঁহার এই প্ৰাণ অপেক্ষ প্রিয় কন্যাটীকে শেষ চুম্বন করিয়া শোকাবেগে মুছিত হইয়া পড়িয়াছিলেন। কিন্তু একটু পরেই সংজ্ঞা লাভ করিয়া, শোকের বেগ সংযত করিয়া তিনি তঁহার অফিস-ঘরে চলিয়া আসেন এবং সজল নয়নে কলিকাতা হইতে আগত ডাক্তারগণের পারিশ্রমিকের জন্য চেক সহি করিয়া দেন। অতঃপর তিনি তঁহার প্রকোষ্ঠে প্ৰবেশ করিয়া নির্জনে শোক প্ৰকাশ করিতে থাকেন । কিছুদিনের জন্য শোকে তিনি অত্যন্ত বিচলিত হইয়া পড়িয়াছিলেন, কিন্তু পরে তিনি স্থিরভাব অবলম্বন করেন। তিনি বলিতেন,-শোকে আমার হৃদয়