পাতা:বংশ-পরিচয় (একাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 어f5 কখনও তিনি যত্ন-চেষ্টার ত্রুটি করিতেন না। যে শোচনীয় আঘাতের ফলে তাহার মৃত্যু হয়, সে আঘাতে যখন তাহার দুইটী আহত হস্তেই ঔষধ প্রয়োগ করা হুইয়াছে এবং দুইটী হন্তেই ব্যাণ্ডেজ বাধা তখন তিনি কতকগুলি আপীল শুনিবার জন্য জুডিসিয়াল কমিটীর বৈঠক বসাইতে বলেন । সে সময়ে তাহার নড়িতে চড়িতেও তীব্র যাতন হইত । অনেক কষ্টে আমি তাহাকে এই কাৰ্য্য হইতে নিরস্ত করিতে পারিয়াছিলাম । ‘শাসন-কাৰ্য্যে তিনি যে মূলনীতি অনুসারে চলিতেন তাহা এই-- যোগ্য কৰ্ম্মচারী নিযুক্ত করিয়া তাহদের হস্তে প্ৰভূত ক্ষমতা প্ৰদান করা এবং বৈধ শাসন ও ব্যক্তিগত শাসন-এই উভয়ের মধ্যে যাহা যাহা উৎকৃষ্ট তাহা তাহা গ্ৰহণ করা । তিনি কখনও নিজেকে আইনের গণ্ডীর বহিভূত মনে করিতেন না এবং ব্রিটিশ ভারতে প্ৰচলিত ব্যবস্থা-অনুসারে তিনি ঔহার আদেশের বিরুদ্ধে দেওয়ানী আদালতে আপীল করিবার অধিকার দিতেন। তাহার ধারণা ছিল--কোনও লোকই অভ্রান্ত নহে অর্থাৎ ভুল-চুক সকল মানুষেরই হইয়া থাকে। সেইজন্য আপীল আদালতে তঁহাদের আদেশ অবৈধ হইয়াছে বলিলে তিনি তাহার আদেশ প্ৰত্যাহার করিতেন এবং সেজন্য একটুও দুঃখিত হইতেন না। সমযে সময়ে জুডিসিয়াল কমিটিতে আপীলের ফলে তিনি আপনার আদেশের অবৈধতা বুঝিয়া উদারভাবে আপনার ভ্ৰম স্বীকার করিতেন। একপ উদাহরণ। অবশ্য অল্প । কিন্তু অল্প হইলেও ভারতের কয়জন সামন্তরাজ কল্পনায়ও ইহা সহ্য করিতে পারেন যে, তঁহাদেরই কৰ্ম্মচারীরা তঁহাদেরই আদেশ উল্টাইয়া দিতেছে ? কিন্তু মহারাজা শ্ৰীরামচন্দ্র তাহা পারতেন । ইহাতেই বুঝা যায়, তাহার হৃদয় ও মনের উদারতা ও বিশালতা কতদূর ছিল।” “মহারাজা শ্ৰী রামচন্দ্রের সিংহাসনাধিরোহণের পর হইতেই