পাতা:বংশ-পরিচয় (চতুর্দ্দশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

OS 8 বংশ-পরিচয় নামক বাদ্যসাহি রাস্তা অতিক্রম করিয়া মোগলসীমা পৰ্য্যন্ত পৌছিয়াছে। এডুয়ারের সেনবংশীয়গণের জন্য প্ৰধানতঃ প্ৰতিষ্ঠিত ঐ পথ অন্যাপি এতদঞ্চলে এডুয়ার রাস্তা নামে প্ৰসিদ্ধ আছে। ঐ এডুয়ার রাস্তার পূৰ্বপার্শ্বে রাজা জগৎসেনের গোচারণের যে বিস্তীর্ণ মাঠ ছিল তাহা অন্যাপি এড়ুয়ার মাঠ নাম খ্যাত। জগৎসেনের বহুশত গো অশ্ব মেষাদি গৃহপালিত জীবজন্তু ছিল ; উক্ত পশুসমূহের রক্ষণাবেক্ষণ জন্য তিনি দামোদরের দক্ষিণস্থ চাগ্রাম অঞ্চল হইতে রায়বংশীয়গণকে আনয়ন করাইয়া বিম্ব গ্রামে বসবাস স্থাপনা করান। রাজবংশীয়গণ উক্ত এডুয়ার মাঠে রাজা জগৎসেন ও তাহার বংশধরগণের গোচারণাদি করিত এবং উক্ত পশুসমূহের রক্ষণাবেক্ষণ জন্য তথায় বাস করত। রাজা জগৎসেন তাহার পশুগণের জলপানজন্য এক বিস্তীর্ণ জলাশয় খনন করাইয়া দেন, উক্ত জলাশয় এবং জলাশয়ের তীরবর্তী সুবৃহৎ পশুশালার ধবংসাবশেষ এখনও দেখা যায় । রায়বংশীয়গণ উক্ত পশুশালার ও তৎসংলগ্ন পুষ্করিণীর ভারপ্রাপ্ত থাকায় উক্ত পুষ্করিণী কালক্রমে রায়দীঘি নামে খ্যাত হয়। বাস্তবপক্ষে রায়বংশীয়গণ কখনই উক্ত পুষ্করিণীর মালিক ছিলেন না ; উক্ত পুষ্করিণী এবং এডুয়ার মাঠ চিরকালই বিম্ব গ্রামের রাজা জগৎসেনের বংশধরগণের অধিকারেই আছে। রাজা জগৎসেনের মৃত্যুর পর তৎপুত্র রাজা ধৰ্ম্মসেন তঁাহার পিতৃত্যক্ত সম্পত্তিতে অধিকারী হয়েন। কেবলমাত্র রাজা জগৎসেন ব্যতীত রাজা লাউসেন বা তাহার বংশধরগণ সকলেই ধৰ্ম্মরাজ্যের উপাসক ছিলেন। র্তাহারা নিত্যশুদ্ধ বুদ্ধ শান্ত সনাতন চৈতন্যম্বরূপ নিরঞ্জনের উপাসনা করিতেন। বৌদ্ধধৰ্ম্মের মধ্যে কালক্রমে ধৰ্ম্মশিলা পূজার বিধি প্ৰচলিত হওয়ায় রাজা হেমন্ত সেন যে শীতলরায় নামক, ধৰ্ম্মশিলা স্থাপনা করেন রাজা ধৰ্ম্মসেন সেই ধৰ্ম্মশিলার পূজাবিধি ও গাজন-মহোৎসবাদির জন্য শীতল সায়র, ধৰ্ম্মসায়র ও রামসমুদ্র নামক তিনটী, প্ৰকাণ্ড সরোবর