পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ο Α. ο বংশ-পরিচয় যুবকদিগের কথা বিশ্বাস না করিয়া পারিলেন না। তখন যুবকেরা নিস্কৃতি লাভ করিলেন। যদি দুই চারি সপ্তাহ পূর্বে র্তাহারা গ্রেপ্তার হইতেন, তাহা হইলে তঁহাদিগকে গুলি করিয়া নিশ্চয়ই মারা হইত । কিন্তু বিধাতার বিধান অন্যরূপ। স্বদেশে যাহাদের কর্তব্য নিহিত, বিদেশে তাঁহাদের প্রাণ যাইবে কেন ? রাজকাৰ্ম্মে নিয়োগ ১৮৭১ খৃষ্টাব্দ হইতে ১৮৮২ খৃষ্টাব্দ পৰ্য্যন্ত এই এগার বৎসর কাল তিনি বাঙ্গালার নানা জেলায় কৰ্ম্ম করিয়াছিলেন। ১৮৭৪ খৃষ্টাব্দে নদীয়া জেলায় দুৰ্ভিক্ষ-গ্ৰস্ত নরনারীর দুৰ্দশা-মোচনের কাৰ্য্যে তঁাহার প্রথম হাতে খড়ি হয়। কিন্তু ১৮৭৬ খৃষ্টাব্দে ইহা অপেক্ষাও দায়িত্বপূর্ণ কাৰ্য্যে তিনি নিযুক্ত হন। সেই সময়ে দক্ষিণ-পূর্ব বাঙ্গালায় ভীষণ ঝড় হয় ও সমুদ্রতরঙ্গ নদীগর্ভে প্ৰবেশ করে । ফলে লক্ষাধিক লোকের মৃত্যু হয়। গঙ্গার মোহানায় দক্ষিণ সাহবাজপুর চরে রমেশচন্দ্ৰ প্রেরিত হন । এই চরের তটদেশের সর্বত্র তখন মৃতদেহ ভাসিতে ছে। কেবল কি তাহাই ?-বৃক্ষে নরনারীর মৃতদেহ ঝুলিতেছে ; পুষ্করিণীর জলে মনুষ্যের শব্ব ভাসিতেছে। নদীর জলে স্রোতের মুখে মানুষ ও পশুর মৃতদেহগুলি ইতস্ততঃ ভাসমান হইতেছে। ভীষণ ওলাউঠার প্রকোপে বহুলোক মৃত্যুমুখে পতিত হইতেছে। মানুষের ধনসম্পত্তি রক্ষকহীন অবস্থায় রহিয়াছে বলিয়া লুট-তরাজ অবাধে চলিতেছে। তাহার উপর শস্যনাশ হেতু ভীষণ দুর্ভিক্ষেরও আবির্ভাব হইয়াছে। এইসকল ভীষণ বিপত্তির মধ্যে মাত্ৰ পাঁচ বৎসরের অভিজ্ঞতা লইয়া তরুণ সিবিলিয়ান রমেশচন্দ্ৰ তথাকার শাসনভার গ্ৰহণ করেন। তিনি নুতন করিয়া আবার গ্রাম নিৰ্ম্মাণ করেন, সৰ্ব্বত্র শান্তি-শৃঙ্খলা স্থাপন করেন, বিপন্ন প্ৰজাগণকে সাহায্য দান করেন। তিনি যখন এই স্থান হইতে