পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YVOR 한비 f5 অনুসারে তিনি আরও নয়। বৎসর চাকুরী করিতে পারিতেন । তথাপি দত্ত মহাশয় অবসর গ্ৰহণ করিলেন কেন ? জনসাধারণে এই বিষয় লিইয়া বহু আলোচনা করিয়াছিল। যাহা হউক, তাহার অবসর গ্রহণের দুইটী কারণই সঙ্গত বলিয়া মনে হয়। প্রথম-তিনি মন প্ৰাণ ঢালিয়া সাহিত্যসাধনা করিবেন। এইরূপ সঙ্কল্প করিয়াছিলেন । তিনি বলিতেন-বাণীর আরাধনাকেই আমি আমার জীবনের প্রধান করণীয় বলিয়া মনে করি । তঁহার আকাজক্ষ ছিল-আমি এমন কতকগুলি গ্ৰন্থ রচনা করিয়া যাইব, যাহাতে আমার দেশবাশীর নিকট আমার নাম চিরস্থায়ী হইয়া থাকে । দ্বিতীয়-তাহার দেশবাসীরা স্বায়ত্ত শাসন লাভের জন্য যে প্ৰচেষ্টা করিতেছেন তাহাতে সাহায্য করিবার জন্য র্তাহার প্রাণ অধীর হইয়া পড়িয়াছিল । তিনি দীর্ঘকাল সরকারী কৰ্ম্ম করিয়া বুঝিয়াছিলেন যে, এদেশের লোককে দেশ শাসনের ভার বহুল পরিমানে না দিলে ইংরাজের ভারত শাসন পদ্ধতি সুফল প্ৰদ হইবে না। তাই স্বায়ত্ত শাসন যাহাতে এদেশে সত্বর প্ৰবৰ্ত্তিত হয়। সেই আন্দোলনে সাহায্য করিবার জন্য তিনি অত্যধিক ব্যগ্ৰ হইয়া পড়িয়াছিলেন। এই দুই কারণই তেঁাহার এত শীঘ্র অবসর গ্ৰহণের হেতু । তিনি যখন অবসর গ্ৰহণ করেন তখন তঁহার বয়স ৫০ বৎসর হইয়াছিল । ३९व्ल८९७ ट्दश्ष्ट्रांना । ১৮৯৭ খৃষ্টাব্দের প্রারম্ভ হইতে ১৯০৪ খৃষ্টাব্দের প্রারম্ভ পৰ্যন্ত সাত বৎসর কাল রমেশচন্দ্ৰ ইংলণ্ডে অবস্থান করিয়াছিলেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি দুইবার ভারতে আসিয়াছিলেন । একবার ১৮৯৯ খ্ৰীষ্টাব্দের লক্ষ্মেী কংগ্রেসের সভাপতিরূপে, আর একবার ১৯০২ খৃষ্টাব্দে ।