পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Satse VS SNOR করিতেন, সেগুলি তঁহার দেশবাসীগণের মৰ্ম্ম স্পর্শ করিত। সুতরাং শীঘ্রই তিনি ভারতবাসীর প্রিয় হইয়া উঠিলেন। তঁহার এই স্বদেশানুরাগ ও স্বজাতিগ্ৰীতির ফলস্বরূপ র্তাহাকে ১৮৯৯ খৃষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে লক্ষ্মেী কংগ্রেসের সভাপতি-পদে বৃত করা হয়। দেশবাসীর হস্তে ইহাই সৰ্বোচ্চ সন্মান। রমেশচন্দ্ৰ এই সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত হইয়াছিলেন। তিনি কংগ্রেসের সভাপতিরূপে বলেন,- অত্যধিক রাজস্বই এদেশের কৃষককুলের দারিদ্র্য ও দুর্ভিক্ষের কারণ। এজন্য জমীদারদিগেরও যে ক্ষতি না হইতেছে তাহা নহে। লর্ড কার্জনের সহিত তর্ক-বিতর্ক । কলিকাতায় প্ৰত্যাবৃত্ত হইয়া রমেশচন্দ্ৰ তদানীন্তন বড়লাট লর্ড কার্জনেৰ সহিত সাক্ষাৎ করেন এবং তিনি দীর্ঘকাল দত্ত মহাশয়ের বক্তব্য শ্রবণ করেন। প্রথমতঃ তিনি বলেন,-সরকারী রাজস্বের একটা সীমা বাধিয়া দেওয়া হউক। উহা যে ক্ৰমশঃ বাড়াইতেই হইবে এরূপ BDBBD DBDD DBD uBDBD DDD SS BB BD D yBB BD DBD রাখিয়া জমি জরিপ করা উচিত এবং রাজস্ব বৃদ্ধি করিতে হইলেও এই গণ্ডীর দিকে লক্ষ্য রাখিয়াই তাহ করা সঙ্গত। দ্বিতীয়তঃ, তিনি বলেন,-বড়লাটের এবং প্ৰাদেশিক শাসকবর্গের শাসন-পরিষদের সদস্য-পদ ভারতবাসীকে প্ৰদান করা উচিত। এই ব্যাপার লইয়া অনেক তর্ক হয়। শেষে লর্ড কার্জন বলেন,-এক ব্যক্তি কর্তৃক শাসনকাৰ্য্য পরিচালনার যে পদ্ধতি আছে তাহাই কি ভারতবর্ষের পক্ষে সর্বোৎকৃষ্ট নহে? লর্ড কার্জন সাত বৎসর ভারত শাসন করিয়াছিলেন বটে ; কিন্তু শাসন-ব্যাপারে যে এই একেশ্বর নীতি যথেচ্ছাচারিতা ও অত্যাচারেরই প্রশ্রয় দিয়াছিল, তাহা তিনি উপলব্ধি করিতে পারেন নাই। লর্ড কার্জন শাসন-কাৰ্য্যে এই একেশ্বর নীতি