> Bbvo ቐSማ-ምዘfቑbቑg জীবনে অক্ষরে অক্ষরে মিলিয়া গিয়াছিল। নয়। বৎসর বয়সে তিনি জেনারল এসেমৃত্নী ইনষ্টিটিউসনে ভৰ্ত্তি হন। জেনারল এসেমৃত্নী তখন অবৈতনিক বিদ্যালয়। কিন্তু বেশীদিন জেনারল এসেমৃত্নী ইনষ্টিটিউসনে অধ্যয়ন করা গুরুদাসের ভাগ্যে ঘটিল না। তঁহার স্বাস্থ্য ভগ্ন হওয়ায় তিনি অল্পদিনমাত্র জেনারল এসেম্ব্লীতে অধ্যয়ন করিয়া বিদ্যালয় পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হইলেন। তাহার পর তাহার মাতুল তঁাহাকে ওরিয়েণ্টাল সেমিনারীতে স্থানান্তরিত করিলেন। এখানেও গুরুদাস বেশীদিন অধ্যয়ন করিতে পারিলেন না । শীঘ্রই তিনি ওরিয়েণ্টাল সেমিনারী ছাড়িয়া হেয়ার স্কুলে ভৰ্ত্তি হইলেন। ওরিয়েণ্টাল সেমিনারী তখন গৌরমোহন আঢ্যের স্কুল নামে পরিচিত ছিল। এইখানে আসার পর হইতেই তাহার স্মৃফুটোনোমুখ প্ৰতিভার বিকাশ হইতে লাগিল। তিনি অষ্টম শ্রেণী হইতে একেবারে পঞ্চম শ্রেণীতে এবং পঞ্চম শ্রেণী হইতে একেবারে তৃতীয় শ্রেণীতে উন্নীত হন। ১৮৫৯ খ্ৰীষ্টাব্দে তিনি হেয়ার স্কুল হইতে প্ৰবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। হেয়ার স্কুল তখন কলুটোলা ব্র্যাঞ্চ স্কুল নামে পরিচিত ছিল । বৰ্ত্তমান প্রেসিডেন্সী কলেজের উত্তর-পূর্ব কোণে একটি পুরাতন অট্টালিকায় এই স্কুল স্থাপিত ছিল। প্ৰবেশিকা পরীক্ষায় তিনি স্কুলের যাবতীয় পরীক্ষার্থী মধ্যে সর্বোচ্চস্থান অধিকার করিয়াছিলেন । হেয়ার স্কুলে অধ্যয়নকালে গুরুদাস স্বৰ্গীয় প্যারীচরণ সরকারের নিকট পড়িবার সৌভাগ্য লাভ করিয়াছিলেন। প্ৰবেশিকা পরীক্ষা দিবার পূর্বে স্যর গুরুদাস অত্যন্ত পীড়িত হইয়া পড়িয়াছিলেন। ইহাতে র্তাহার শিক্ষক প্যারীচরণ সরকারের মনে নৈরাশ্যের মেঘ সঞ্চারিত হইয়াছিল। প্যারীচরণ স্বয়ং গুরুদাসের বাটীতে আসিয়া একখানি পান্ধীতে করিয়া ভঁাহাকে পরীক্ষা-মন্দিরে লইয়া যাইবার ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। পরীক্ষা শেষ হইলে প্যারীচরণ
