পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*y3 wysta RaqJtotą وا স্যর গুরুদাসের মতই ছিল যত্ৰ নাৰ্য্যন্তু পূজ্যন্তে রমন্তে তত্র দেবতাঃ। যত্ৰৈবাস্তু ন পুজ্যন্তে সৰ্ব্বাস্তাত্ৰাফিলাঃ ক্রিয়া ৷ ‘অর্থাৎ যেখানেই স্ত্রীজাতি সন্মানিত হন, সেখানেই দেবতাগণ বিরাজ করেন। যেখানে স্ত্রীজাতি সন্মানিত না হন, সেখানে সকল অনুষ্ঠানই নিম্বফল হয় । কৃষিশিক্ষা ও বিজ্ঞানশিক্ষা দিবার জন্য তিনি প্ৰাণপণ প্ৰযত্ন করিয়াছিলেন। মৃত্যুর অব্যবহিত পূর্বে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক এবিষয়ে নিযুক্ত কমিটিতে অসুস্থ শরীরেও উপস্থিত হইয়াছিলেন। তিনি সে সময়ে অত্যন্ত অসুস্থ, তাহা সত্ত্বেও সিনেট-সভায় দাড়াইয়া যুবার ন্যায় উচ্চকণ্ঠে বলিয়াছিলেন-“বাণিজ্যশিক্ষা, কৃষিশিক্ষা ও শিল্পশিক্ষা না দিলে এই জাতির আর উন্নতির উপায় নাই। ভারতবর্ষে আর সে জাতিভেদ নাই, প্রতীচ্যেও উচ্চনীচ-প্ৰথা তিরোহিত হইয়াছে। কৃষকের পুত্ৰ এখন আর কৃষক নহে । ইংল্যাণ্ডে একজন ক্ষৌরকারের পুত্র লর্ড চ্যান্সেলর হইয়াছেন । বাঙ্গালাদেশেও একজন কৃষকের পুত্র বিজ্ঞানসভার প্ৰতিষ্ঠাতা হইয়াছেন। লোকের জীবনসংগ্রাম এখন দিন দিন বাড়িয়া চলিতেছে। এখন শিল্প ও কৃষির সামান্য জ্ঞানে আর চলিবে না । এক্ষণে আমরা শ্রমশিল্পের মৰ্য্যাদা বুঝিতে পারিতেছি, কাজেই বিশ্ববিদ্যালয়কে এখন শিল্প ও কৃষিশিক্ষা দিতেই হইবে।” সিনেট-সভায় স্যর গুরুদাসের বক্ততা এরূপ হৃদয়গ্ৰাহী হইয়াছিল যে, সকলে তাহার প্রস্তাবনা একবাক্যে গ্ৰহণ করেন। স্যর গুরুদাস খাটী ব্ৰাহ্মণ ছিলেন এবং ধৰ্ম্মকৰ্ম্মেও র্তাহার যথেষ্ট "আনুরক্তি ছিল, একথা বলাই বাহুল্য। কাজেই তিনি বিদ্যালয়ে