পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্যর গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। SS. বলিয়াছিলেন। যে বাটীতে র্তাহার মাতার পাঞ্চভৌতিক দেহ পঞ্চভূতে মিশিয়াছিল, সেই বাটীতে মহাত্মা গুরুদাসও সজ্ঞানে দেহত্যাগ করেন। মহাত্মা গুরুদাস আপনি নারিকেলডাঙ্গা পল্লীতে একজন সদাশয় প্ৰতিবেশী বলিয়া পরিগণিত হইয়াছিলেন। নারিকেলডাঙ্গা পল্লীতে প্ৰতিবেশীগণের মধ্যে যত প্ৰকার গোলমাল বা বৈষয়িক গোলযোগ উপস্থিত হইত স্যর গুরুদাস মধ্যবৰ্ত্তী হইয়া তৎসমস্ত মিটাইয়া দিতেন। তাহার মীমাংসা সকলেই নিরপেক্ষ মীমাংসা বলিয়া নতমস্তকে গ্ৰহণ করিত। মহাত্মা গুরুদাসের অনেক কাৰ্য্য ছিল, কিন্তু তাহা সত্ত্বেও তিনি প্ৰতিবেশীদের পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-কোলাহলানিস্পত্তিতে নিজের অমূল্য সময় নষ্ট করিতে বিন্দুমাত্র বিরক্তি প্ৰকাশ করিতেন না ; কারণ র্তাহার এই ধারণা ছিল যে, তাহার একটু পরিশ্রমে ও যত্নে দরিদ্র প্রতিবেশীর মকদ্দমায় অর্থনাশের হাত তইতে অব্যাহতি পায় তবে তাহাও ভাল । নারিকেলডাঙ্গা পল্লীতে এমন কোন উৎসব, ক্রিয়া-কলাপ হইত না যাহা তাহার বিনা অনুমতি বা বিনা উপস্থিতিতে হইত। পল্লীর দবিদ্র বালকগণ যাহাতে যথোপযুক্ত শিক্ষালাভ করে তদুদ্দেশ্যে তিনি নারিকেলডাঙ্গা হাই স্কুল-স্থাপনে প্ৰভূত অর্থসাহায্য করিয়াছিলেন এবং জীবনের শেষ পৰ্য্যন্ত উক্ত স্কুলের কাৰ্য্যনিৰ্বাহ কল্পে প্ৰাণপণ পরিশ্রম করিতেন। তিনি স্কুলের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রগণকে স্বয়ং প্রতি রবিবারে পড়াইতেন। স্যর গুরুদাস একদিকে অতি কোমল প্ৰকৃতির হইলেও অন্যদিকে র্তাহার কঠোরতা ছিল। তিনি তঁাহার পুত্ৰগণের অথবা জামাতৃগণের মধ্যে র্যাহারা হাইকোর্টের ব্যবহারাজীব তাহাদিগকে তাহার এজলাসে ওকালতি করিতে দিতেন না-পাছে পুত্র বা জামাতৃগণের প্রতি স্নেহাধিক্যপ্রযুক্ত তিনি বিচার-বিষয়ে পক্ষপাতিত্ব দেখাইয়া বসেন। তিনি কোনও রাজনৈতিক আন্দোলনে প্ৰকাশ্যভাবে যোগদান ন্যা করিলেও দেশে যে কোনও প্রকারের