পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্যর গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ❖ዓ¢ ̇ করিতে লাগিলেন। মৃত্যুর করালা ছায়া যতই তাহার উপর ঘনীভূত হইতে লাগিল, তাহার মুখমণ্ডলও ততই কৃষ্ণবর্ণ না হইয়া উত্তরোত্তর স্বৰ্গীয় জ্যোতিতে উদ্ভাসিত হইতে লাগিল। কি সে সৌম্যশান্ত মূৰ্ত্তি ! দেখিতে দেখিতে দুইটা, তিনটা, চারিট, পাঁচটা বাজিল। প্ৰতীচী গগনে অস্তগমনোন্মুখ সুৰ্য্যের সুবর্ণ কিরণ বাতায়ন-পথ দিয়া আসিয়া গুরুদাসের সর্বাঙ্গে সোনার বর্ণ ঢালিয়া দিল । উন্মুক্ত গবাক্ষ দিয়া জাহ্নবী-শীকর সংপৃক্ত বায়ুরাশি ধীরে ধীরে আসিয়া তাহার শরীরে মলয় বীজন করিয়া দিল। ক্রমে সন্ধ্যার নিস্তব্ধতা ও গাঢ় অন্ধকার আসিয়া ধরণীর মুখ আবৃত করিল। গুরুদাস তথাপিও নিবাত, নিষ্কম্প প্ৰদীপটীর মত ধীরস্থির পলকহীননেত্ৰে একদৃষ্টিতে গঙ্গার দিকে তাকাইয়া রহিলেন। ক্রমে রাত্ৰি সাতটা, আটটা, নয়টা, দশটা হইল, তথাপি গুরুদাসের কোন উদ্বেগ নাই।। ১০ । ১৫ মিনিটে গুরুদাস পুত্রকে ইঙ্গিতে তাহার। আপাদমস্তক ঢাকিয়া দিতে বলিলেন ; তাহার আদেশ প্ৰতিপালিত হইল। তার পর দক্ষিণাকরে উপবীত ধারণ করিয়া অস্ফুটম্বরে গায়িত্রী জপ করিয়া তিনবার বলিলেন, “এই শেষ।” এই শেষ”। সঙ্গে সঙ্গে তাহারও জীবন-নাট্যের যবনিক পতিত হইল। রাত্ৰি ঠিক ১০টা ৩০ মিনিটে সব শেষ হইল। সঙ্গে সঙ্গে ভারতের গগন হইতে একটী অত্যুজ্জ্বল নক্ষত্ৰ খসিয়া পড়িল । মহাত্মা গুরুদাস বিধবা পত্নী, চারিটীি পুত্র-রত্ন এবং দুইটী কন্যা রাখিয়া মহাপ্ৰস্থান করিয়াছেন । পুত্র-চতুষ্টয়ের মধ্যে শ্ৰীযুক্ত হারাণচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায় এম্-এ, বি-এলু কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান-বিভাগের পোষ্ট-গ্রাজুয়েট কৌন্সিলের সেক্রেটারী ; দ্বিতীয় রায় বাহাদুর ডাক্তার শরৎচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায় এম-এ, ডি-এলু ষ্ট্র কলিকাতা ইমপ্রভমেন্ট ট্রবিউন্যালের প্রেসিডেন্ট ; তৃতীয় শ্ৰীমুক্ত উপেন্দ্ৰচন্দ্ৰ স্যর গুরুদাসের १०