পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর । SN) মহাভারত অনুবাদ অক্ষয়কুমার দত্তের অনুরোধে বিদ্যাসাগর মহাশয় ১৮৪৮ খৃষ্টাব্দে ফেব্রুয়ারী মাসে ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকায় মূল মহাভারতের বাঙ্গালা অনুবাদ প্ৰকাশ করিতে আরম্ভ করেন । আদিপর্বের কিঞ্চিদংশ পত্রিকায় মুদ্রিতও হইয়াছিল। কিছুদিন অনুবাদ ছাপা হইবার পর কালীপ্রসন্ন সিংহ মহাশয় বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অনুমতি লইয়া মহাভারতের অনুবাদ প্ৰকাশ করিতে থাকেন । মহাভারত অনুবাদ করিবার পূর্বে বিদ্যাসাগর মহাশয় “বাসুদেবচরিত” ও “বেতাল পঞ্চবিংশতি” এই দুই পুস্তকের অনুবাদ করেন। বলা বাহুল্য, এই কাৰ্য্যে তঁহার প্রভূত কৃতিত্ব প্ৰকটিত হয়। পিতার অবসরগ্রহণ ফোর্ট উইলিয়ম কলেজে কাৰ্য্য করিবার সময়ে তিনি একদিন তঁহার পিতাকে বলেন,-আমার ৫০২ টাকা মাহিনী হইয়াছে, ইহাতেই স্বচ্ছন্দে চলিবে, আপনি আর কেন পরিশ্রম করেন ? এইবার অবসর লইয়া দেশে গিয়া থাকুন । বলা বাহুল্য, পুত্রের অনুরোধে পিত কৰ্ম্মত্যাগ করিয়া বীরসিংহে চলিয়া যান। এই কলেজেই কৰ্ম্ম করিবার সময়ে তিনি কলেজের কর্তৃপক্ষের অনুরোধে “বাসুদেব-চরিত” নামক একখানি গ্ৰন্থরচনা করেন। শ্ৰীমদ্ভাগবতের দশম স্কন্ধ অবলম্বনে উহ্য রচিত। পুস্তকখানির যেমন লিপি-কৌশল, তেমনই ভাষা-পরিপাট্য। কিন্তু কলেজের কর্তৃপক্ষ ইহা সিবিলিয়ানদের পাঠ্যরূপে অনুমোদিত করেন নাই। তৎকালে ফোর্ট উইলিয়ম কলেজে কতকগুলি বাঙ্গালা পাঠ্যপুস্তক ছিল, সেগুলির কোনও খানিই ‘বাসুদেব-চরিতে’র সমকক্ষ ছিল না । দুঃখের বিষয়, এই পুস্তক মুদ্রিত হয় নাই।