পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর । Sc. কালনায় উপস্থিত হন। এবার তাহার এসিষ্ট্যাণ্ট সেক্রেটারী থাকিবার সময়েই সংস্কৃত কলেজে সাহিত্যের অধ্যাপক পদ শূন্য হয়। রসময়বাবু বিদ্যাসাগরকে এই পদগ্ৰহণ করিতে বলেন। কিন্তু তিনি ইহাতে সম্মত না হইয়া তাহার সহাধ্যায়ী মদনমোহন তর্কালঙ্কার মহাশয়কে এই পদের জন্য সুপারিশ করেন। ফলে তিনিই এই পদে নিযুক্ত হন। এই সময়ে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের চতুর্থ ভ্ৰাতা দ্বাদশবর্ষীয় বালক হরচন্দ্ৰ ওলাউঠা রোগে প্ৰাণত্যাগ করেন । এই শোকে তিনি অত্যন্ত বিহবল হইয়া পড়িয়াছিলেন । বিদ্যাসাগর ফোট উইলিয়ম কলেজের কৰ্ম্মত্যাগ করিলে তঁহারই অনুরোধে তঁহাঁর ভ্রাতা দীনবন্ধু ন্যায়রত্নকে ঐ পদে নিযুক্ত করা হয়। এই সময়ে সংস্কৃত কলেজের সেক্রেটারী। রসময় দত্ত মহাশয়ের সহিত তাহার মতান্তর ঘটে । শিক্ষাপদ্ধতি-সম্বন্ধে তিনি যেসকল প্ৰস্তাব করিতেন সেগুলির কোনও কোনওটী সেক্রেটারীর অনুমোদিত হইত না । তেজস্বী বিদ্যাসাগর। ইহা অমৰ্য্যাদাকর বিবেচনা করিয়া কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করেন। ১৮৪৯ খৃষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসের পূর্ব পৰ্য্যন্ত তিনি কোনও চাকুরী গ্ৰহণ করেন নাই। এই সময়ে তিনি হিন্দী ও ইংরেজীতে অনেকটা বুৎপত্তি লাভ করিয়াছিলেন। शूद्रांशल्ल-छ्ां°न ১৮৪৭ খ্ৰীষ্টাব্দে মার্শাল সাহেবের অনুরোধে বিদ্যাসাগর মহাশয় “বৈতাল পচ্চিশী” নামক হিন্দী গ্রন্থের বঙ্গানুবাদ করেন ; ইহাই “বেতালপঞ্চবিংশতি”। এই সময়ে তিনি ‘সংস্কৃতযন্ত্ৰ” নামক এক ছাপাখানার প্রতিষ্ঠা করেন । ইহাতে প্ৰথমে মদনমোহন তর্কালঙ্কার মহাশয়ের অংশ ছিল ; পরে তিনি উহার স্বত্বাধিকার ত্যাগ করিয়া ছিলেন। এই ছাপাখানায় সর্বপ্রথম ভারতচন্দ্রের গ্ৰন্থ মুদ্রিত হয়।