RR ቕ«ጫ-ጓfጳb¶ স্বাগ্রামের উন্নতি-সাধন জন্মস্থান বীরসিংহের প্রতি বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সুগভীর অনুরাগ ছিল। এই সময়ে শিক্ষণ-বিস্তারের যে প্ৰয়াস চলিতেছিল বীরসিংক তাহার গণ্ডী চাইতে বহির্ভূত থাকিবে, ইহা বিদ্যাসাগৰ মহাশয়ের অভিপ্রেতি ছিল না । সেইজন্য ১৮৫৩ খৃষ্টাব্দে তিনি বীরসিংহে একটি অবৈতনিক বিদ্যালয় স্থাপিত করেন। তিনি নিজ অর্থে বিদ্যালয়ের জন্য ভূমি ক্রয় ও বাটী নিৰ্ম্মাণ করেন। এই সময়ে তথায় একটি বালিকা-বিদ্যালয়ও প্ৰতিষ্ঠিত হয় য়াছিল। এই দুই বিদ্যালয়ের ব্যয়-ভার তিনি স্বয়ং বহন করিতেন । ১৮৫৪ খৃষ্টাব্দে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বেতন ১৫০২ টাকা হইতে একেবারে ৩০০২ টাকা হয়। এই সময়ে তাহার পুস্তকাদি হইতেও মাসিক প্ৰায় ৪০০২ টাকা আয় হইত। কিন্তু বিদ্যাসাগর মহাশয় এই ৭০০২ টাকা হইতে এক পয়সাও সঞ্চয় করিতেন কি না সন্দেহ। কারণ, বীরসিংহের স্কুল ও দাতব্য চিকিৎসালার ইত্যাদির জন্য তঁহাকে প্রতি মাসেই প্ৰায় পাঁচশত সাড়ে পাঁচশত টাকা ব্যয় করিতে হইত। ১৮৫৫ খৃষ্টাব্দে গবমেণ্টের আদেশে মফস্বলে বাঙ্গালা ও ইংরেজী বিদ্যালয় স্থাপন ও কি প্ৰণালীতে তথায় শিক্ষা দেওয়া যাইতে পারে সে সম্বন্ধে বিদ্যাসাগর মহাশয় এক রিপোর্ট লিখেন। সেই রিপোট দেখিয়। কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত সন্তুষ্ট হন এবং তঁাহাকে এসিষ্ট্যাণ্ট স্কুল-ইনস্পেক্টরের পদে নিযুক্ত করেন। তাহার সংস্কৃত কলেজের প্রিন্সিপালী বজায় রহিল ; এই পদটী হইল-উপরি ; ইহার বেতন মাসিক দুই শত টাকা । সুতরাং এখন হইতে তাহার মোট বেতন হইল ৫০০২ পাঁচ শত টাকা। হুগলী, দ্বমান, নদীয় ও মেদিনীপুর জেলায় স্কুল স্থাপন ও পরিদর্শন করাই স্বর্তাহার এই অতিরিক্ত পদের কাৰ্য্য হইল ।