পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর 86 গোপালচন্দ্ৰ কাশীধামে গিয়াছিলেন ; শুনা যায়, বিদ্যাসাগরমহাশয়ই তঁহাকে কাশীতে পাঠাইয়াছিলেন । সেখানে ওলাউঠা রোগে তাহার মৃত্যু হইয়াছিল। বিদ্যাসাগরমহাশয় ইহার বিয়োগে অত্যন্ত শোকগ্ৰস্ত হইয়াছিলেন। গোপালচন্দ্রের দুই পুত্ৰ-জ্যেষ্ঠ ৬৮সুরেশচন্দ্ৰ সমাজপতি এবং কনিষ্ঠ byযতীশচন্দ্ৰ সমাজপতি । সুরেশচন্দ্ৰ “সাহিত্য” নামক সুপ্ৰসিদ্ধ মাসিক পত্রের সম্পাদক ও তীক্ষুদর্শী সমালোচক ছিলেন ! “বাঙ্গালী” “বসুমতী’ প্ৰভৃতি সংবাদপত্রেরও সম্পাদকতা করিয়াছিলেন । তিনি সুলেখক ও সুবক্তা ছিলেন । বিদ্যাসাগরমহাশয়ের এই দুই দৌহিত্রই বিদ্যাসাগরমহাশয়ের মৃত্যুর বহু পরে কিন্তু তঁহাদের মাতার জীবদ্দশায় অকালে মৃত্যুমুখে পতিত হইয়াছেন। যতীশচন্দ্ৰ আবার সুরেশচন্দ্রের পূর্বেই পরলোক গমন করেন । বিধবা-বিবাহ-ব্যাপারে ঋণ ইংরেজী ১৮৬৮ খ্ৰীষ্টাব্দে গুজব উঠে যে, বিদ্যাসাগরমহাশয় বিধবাবিবাহ আন্দোলনে ও বিধবা-বিবাহ-ব্যাপারে বিস্তর টাকা ঋণগ্ৰস্ত হইয়াছেন। সংবাদপত্রেও এ সম্বন্ধে জনসাধারণের নিকট সাহাষ্য প্রার্থনা করিয়া এক বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয়। বিদ্যাসাগরমহাশয় বীরসিংহ হইতে কলিকাতায় ফিরিয়া আসিয়া এই বিষয় জানিতে পারেন এবং জানিয়া অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ও উত্তেজিত হইয়া উঠেন। তিনি তৎক্ষণাৎ ইহার প্রতিবাদ করিয়া এই মৰ্ম্মে এক পত্ৰ ‘হিন্দু পেটিয়ট” সংবাদপত্রে লিখিয়া পাঠান ঃ বহুদিনের পর আমি বীরসিংহ হইতে কলিকাতায় আসিলাম । আসিয়া শুনিলাম, বিধবা-বিবাহ-ব্যাপারে। আমি বিস্তর টাকা ঋণগ্ৰস্ত হইয়াছি। এইজন্য চান্দা তুলিয়া ঋণশোধের নিমিত্ত এক ফাণ্ড-স্থাপনের প্ৰস্তাব হইয়াছে বলা হইয়াছে, ৪৫ হাজার টাকা ঋণ হইয়াছে।