পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

«bz” ংশ-পরিচয় বনিতা, সন্তানসন্ততি কিম্বা আত্মীয়বর্গের জন্য কোনও রূপ সংস্থান করিয়া যাইতে পারেন না। যাহাতে তদ্রুপ সংস্থান হয়, তাহারই উদ্দেশ্যে এই ফণ্ডের সৃষ্টি। বিদ্যাসাগরমহাশয় ও ভদীয় বন্ধুগণ যথা স্বৰ্গীয় দ্বারকানাথ মিত্র, স্বৰ্গীয় স্তর রমেশচন্দ্ৰ মিত্র, স্বৰ্গীয় ডাক্তার মহেন্দ্ৰলাল সরকার, স্বৰ্গীয় শুষ্ঠামাচরণ দে, মহারাজা স্তর যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর, পাইকপাড়ার রাজপরিবার প্রভৃতি এই ফণ্ডের সৃষ্টিকৰ্ত্তা। ১৮৭৫ খৃষ্টাব্দে বিদ্যাসাগর মহাশয় এই ফণ্ডের সংস্রব ত্যাগ করিয়াছিলেন। এক্ষণে এই ফণ্ডের কাৰ্য্য খুব ভালই চলিতেছে এবং বহু পরিবার ইহার দ্বারা উপকৃত হইয়াছে ও হইতেছে। চটি জুতা ও বিদ্যাসাগর বিদ্যাসাগরমহাশয় থান ধুতি, মোট চাদর ও চট জুতা বরাবরই পরিতেন । এই পোষাকেই তিনি লাট-বেলাটের বাড়ী পৰ্যন্ত যাইতেন। দেশী জমিদার ও রাজা-রাজড়ার বাড়ীতেও তিনি চট জুতা পায়ে ও মোটা ধুতি-চাদর পরিয়া গমন করিতেন। মধ্যে মধ্যে চাপরাসী ও দরোয়ান প্ৰভৃতি র্তাহাকে উড়িষ্যাবাসী মনে করিয়া তাহার গতিরোধ করিত। ১৮৭৪ খ্ৰীষ্টাব্দের ২৮শে জানুয়ারী তারিখে এইরূপ ঘটনা “কলিকাতার মিউজিয়মে” বা যাদুঘরে ঘাঁটিয়াছিল। বিদ্যাসাগরমহাশয় ঐ দিন কাশীর স্বৰ্গীয় কবি হরিশ্চন্দ্ৰকে কলিকাতার যাদুঘর দেখাইতে লইয়া গিয়াছিলেন । মিউজিয়মের দরোয়ানের ইংরেজী জুতা-পরা কবি হরিশ্চন্দ্র ও বিদ্যাসাগরমহাশয়ের সহযাত্রী রাজকৃষ্ণবাবুর দ্বিতীয় পুত্র সুরেন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিনা। আপত্তিতে যাদুঘরে প্রবেশ করিতে দিল, কিন্তু বিদ্যাসাগরমহাশয়ের পরিধানে ধুতি-চাদর এবং পায়ে তালতলার চট জুতা দেখিয়া তাহাকে ভিতরে যাইতে নিষেধ করিল। তাহারা স্পষ্টই বিদ্যাসাগরমহাশয়কে বলিল, “তোমার মতন একজন উড়িয়াকে জুতা খুলিয়া ভিতরে প্রবেশ করিতে