Ve rt. pississ ছাপাখানা হইতে বার্ষিক পঞ্জিকা, শ্ৰীমদভগবদগীতার টীকা, শান্তিশতকের টীকা, বালবোধিনী এবং বহু বাঙ্গালা গদ্য ও পদ্য প্ৰাচীন গ্ৰন্থ প্ৰকাশিত করিয়াছিলেন । তর্কভূষণমহাশয় ‘ল কমিটি’র পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া বঁকুড়া জেলার জজপণ্ডিতের পদ লাভ করিয়াছিলেন । কিন্তু কিছুদিন পরে এই পদ উঠিয়া যাওয়ায় আর তিনি জজপণ্ডিতী করেন নাই ; ছাপাখানার কাৰ্য্যেই প্ৰবৃত্ত হইয়াছিলেন । তর্কভূষণ মহাশয়ের বাহা আকৃতি যেরূপ সুন্দর ছিল, চিত্তও সেইরূপ বিশুদ্ধ ও পবিত্র ছিল। তিনি শুদ্ধাচার, সংযতমনাঃ, সত্যসন্ধ, তেজস্বী পুরুষ ছিলেন। সন ১২৭২ সালের ভাদ্রমাসে চুচুড়ার বাটীতে একমাত্র পুত্র, এক কন্যা ও পৌত্র-দৌহিত্ৰাদি রাখিয়া এই ঋষিকল্প পুরুষ ইহধাম ত্যাগ করিয়া সাধনোচিত ধামে গমন করেন। ভূদেবের জন্ম, শৈশব ও শিক্ষা সন। ১২৩১ সালের ৩রা ফাস্তুন ( ১৮২৫ খৃষ্টাব্দে ১২ই ফেব্রুয়ারী) রবিবার কলিকাতা ৩৭নং হরিতকী বাগান লেনে ভূদেব মুখোপ্যাধায় জন্মগ্রহণ করেন। সে সময়ে তঁহার পিতা বিশ্বনাথ তর্কভূষণ মহাশয়ের বয়স ৩০ বৎসর । শৈশবে ভূদেববাবুর স্বাস্থ্য ভাল ছিল না। প্রায়ই জ্বর ও পেটের অসুখ হইত। এইজন্য কবিরাজা ঔষধ তাহাকে বিস্তর খাইতে হইয়াছিল। শীঘ্র আরোগ্য লাভ করিবেন বলিয়া তাহার পিতামাতা নতিবপুরের নিকটবৰ্ত্তী জোতিরাম গ্রামের ক্ষেত্রপাল নামক গ্ৰাম্যদেবতার নামে ভূদেববাবুর মাথায় চুল রাখিয়াছিলেন। এই চুল খুব লম্বা হইয়া জট বাধিয়াছিল। শেষে তঁহার শরীর অনেকটা নীরোগ হইয়াছিল। তখন দেবতার নিকট গিয়া মাথার চুল কামাইয়া ফেলা হয়।