পাতা:বংশ-পরিচয় (ত্রয়োদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূদেব মুখোপাধ্যায় by?? পঞ্চম শ্রেণী পৰ্য্যন্ত সিনিয়র বিভাগ এবং ষষ্ঠ হইতে সৰ্বনিম্ন শ্রেণী পৰ্যন্ত জুনিয়র বিভাগ। কলেজের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রেরা সিনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা এবং তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রেরা জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা দিতে পারিতেন। সিনিয়র ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা প্ৰথম প্ৰবৰ্ত্তিত হইলেই পঞ্চম শ্রেণী হইতে ভূদেববাবু, মাইকেল মধুসুদন, গৌরদাস বসাক, শ্যামাচরণ লাহা ও বন্ধুবিহারী দত্ত জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা দিয়াছিলেন। অতঃপর ভূদেববাবু ও তঁহার এই চারিজন সহপাঠী পঞ্চম শ্রেণী হইতে একেবারে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত হইয়াছিলেন। ভূদেববাবুর বিবাহের এক বৎসর পরে ভূদেববাবু সস্ত্ৰীক তঁাহার মাতার নিকট দীক্ষামন্ত্র গ্ৰহণ করেন। দীক্ষালাভ করিয়া ভূদেববাবু যথারীতি জাপাদি করিতেন। প্ৰত্যহ স্নানের পর তিনি মাতার চরণে পুষ্পাঞ্জলি দিতেন ও পরে আহার করিয়া স্কুলে যাইতেন। ভূদেববাবুর বয়স যখন ১৬ বৎসর সেই সময়ে তঁহার মাতৃবিয়োগ হয়। কিন্তু স্নেহময় পিতা তঁহাকে মাতৃশোক-অনুভবের অবসর cलन नांदे । হিন্দু কলেজের সিনিয়র বৃত্তির জন্য পরীক্ষা দ্বিতীয় শ্রেণী হইতে দেওয়া যাইত। ছাত্রেরা তাহার পর প্রথম শ্রেণীতে উঠিয়া তিন বা চারি বৎসর প্রথম শ্রেণীতে অধ্যয়ন করিতেন । প্ৰথম শ্রেণীতে অন্যান তিন বৎসর অধ্যয়ন করিলে কলেজ পরিত্যাগের সময় ছাত্ৰগণকে পারদর্শিতা-সুচক প্ৰশংসাপত্ৰ দেওয়া হইত। সিনিয়র বৃত্তিগুলির আয়ু ছিল এক বৎসরকাল মাত্র। সুতরাং প্ৰথম শ্রেণীতে প্ৰতি বৎসরেই অর্থাৎ প্ৰথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৎসরে ছাত্ৰগণ বৃত্তি পরীক্ষা দিতে পারিতেন । ১৮৪৩ খ্ৰীষ্টাব্দে ভূদেববাবু প্ৰশংসার সহিত সিনিয়ার পরীক্ষায়