ভূদেব মুখোপাধ্যায় ኪጋ”ዓ প্ৰশংসাপত্রের মৰ্ম্ম ঃ-ভূদেব মুখোপাধ্যায় হিন্দু কলেজে ৬ বৎসর ৫ মাস অধ্যয়ন করিয়াছিলেন। কলেজ পরিত্যাগের সময়ে তিনি প্ৰথম শ্রেণীতে অধ্যয়ন করিতেছিলেন। সাধারণ সাহিত্যে র্তাহার জ্ঞান প্ৰভুত উৎকর্ষ লাভ করিয়াছিল এবং ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্যে ও জ্ঞানবিজ্ঞানের উপক্ৰমণিকায় তিনি বিশিষ্ট বুৎপত্তিশালী হইয়াছিলেন। তাহার স্বভাব-চরিত্র সন্তোষজনক ছিল। কলেজ-পরিত্যাগের সময়ে তিনি প্ৰথম শ্রেণীর সিনিয়র ছাত্রবৃত্তি ভোগ করিতেছিলেন । কলেজ ত্যাগ করিবার পর ভূদেববাবু যে ৪০২ টাকা করিয়া বৃত্তি পাইতেছিলেন তাহ বন্ধ হইয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে চাকুরীও জুটি নাই। একটা দেড়শত টাকা বেতনের হেডমাষ্টারী মাউয়াট সাহেব তঁহাকে দিতে চাহিয়াছিলেন। কিন্তু উহ। তাহার তদানীন্তন নীতিতে বাধে বলিয়া তাহা লন নাই। তার পর চাকুরীর জন্য বিস্তর চেষ্টা করিয়াছিলেন, এমন কি সওদাগরী আফিসের দ্বারে দ্বারে চাকুরীর জন্য ঘুরিয়াছিলেন, কিন্তু গ্ৰহ-বৈগুণ্যে, কোথাও চাকুরী জুটাইতে পারেন নাই। এই সময়ে অভাবের বৃশ্চিক-দংশনে তিনি কাতর হইয়া পড়িয়াছিলেন। পরিবারে অন্নকষ্টও উপস্থিত হইয়াছিল । যাহা হউক, এই সময়ে হিন্দু চ্যারিটেবল ইনষ্টিটিউশন নামক একটি স্কুল স্থাপিত হয়। হিন্দুসমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ আপনাদের মধ্যে চাঁদা তুলিয়া ইহার প্রতিষ্ঠা করেন। মিশনারী স্কুলে ছেলে পড়াইতে দিয়া ছেলেরা খৃষ্টভাবাপন্ন হইয়া পড়িতেছে, এটা আশঙ্কা তখন প্রবল হইয়া উঠিয়াছিল । এই আশঙ্কা দূর করিবার জন্য, স্কুলে স্বধৰ্ম্মের প্রতি ছাত্রগণকে শ্রদ্ধাবান করিয়া তুলিবার জন্য এই স্কুলটীি স্থাপিত হয়। ভূদেববাবু তাহার নীতি অক্ষুন্ন থাকিবে বলিয়া মাসিক ৬-৭ টাকা বেতনে এই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদ গ্ৰহণ করেন। কিন্তু এই স্কুল বেশী দিন টিকিল না। উহার ফণ্ডের সমস্ত টাকা ইউনিয়ন ব্যাঙ্কে গচ্ছিত