880 4-9fs গিয়াছিলেন। তদানীন্তন ইউরোপীয় রেলওয়ে ষ্টেশন-মাষ্টার ও রেলের অন্যান্য কৰ্ম্মচারীরা তাহার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্বন্ধে বিশেষ বন্দোবস্ত করিয়াছিলেন। তঁহার শব। চিতার উপর স্থাপনমাত্ৰ যেন কি এক অজ্ঞাত কারণে অকস্মাৎ মেঘাচ্ছন্ন আকাশ পরিষ্কার হইয়া গেল। তাহার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় কোন বাধা-বিঘ্ন হইল না। আশ্চৰ্য্যের বিষয়, তখন একজন শুদ্ধাচার বৃদ্ধ ব্ৰাহ্মণ দেশান্তর হইতে আসিয়া শ্মশানঘাটে উপস্থিত থাকিয়া অন্তিমকালের কাৰ্য্যাদিতে সহায়তা করিলেন । তখন ছোট লাট স্যার জন উডবরণ পূর্ণিয়ায় ছিলেন। তিনি তৎপরদিন জজকোর্ট ও ম্যাজিষ্ট্রেটের কোট পরিদর্শন করিবেন,-ইহা জানিয়া শুনিয়াও জজ ও ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতের বহু কৰ্ম্মচারী পূর্ব রাত্রিকালে স্পেশাল ট্রেণে র্তাহার শবের অনুগমন করিয়া ছিলেন । কিন্তু তৎপরদিন প্ৰাতে পূর্ণিয়ায় ফিরিবার ট্ৰেণ ছাড়িবার সময় পৰ্যন্ত শবদাহাদি কাৰ্য্য সম্পূর্ণরূপে শেষ না হওয়ায় তাহারা কিছু বিচলিত হন। পরে গোবিন্দচন্দ্রের জ্যেষ্ঠ পুত্রের অনুরোধে ষ্টেশন মাষ্টার সরকারী কৰ্ম্মচারীদের জন্য পূৰিয়া-গামী ট্ৰেণকে অতিরিক্ত এক ঘণ্টা আটকাইয়া রাখিবেন, ইহা জ্ঞাপন করিলেন। শ্মশানে বহুসংখ্যক লোক উপস্থিত ছিলেন, রীত্যনুসারে প্রত্যেকেরই কয়েক কলসী জল দিয়া চিতাভস্ম ধুইবার কথা ; কিন্তু তাহাতে অনেক সময়ের প্রয়োজন। কিন্তু কি আশ্চৰ্য্যের বিষয়, গোবিন্দচন্দ্রের পুত্র ও আত্মীয়ের কলসীর জলে চিতাভস্ম প্ৰক্ষালন করিবার পরই গঙ্গার জল স্ফীত ও তীব্রাভিমুখে অগ্রসর হইয়া সমস্ত চিতাভস্ম ভাসাইয়া দিয়া গেল। ফলে ভদ্রলোকদের জন্য ট্ৰেণকে নির্দিষ্ট সময়ের অতিরিক্ত কাল আটকাইয়া রাখিতে হয় নাই এবং তাহারা যথাসময়ে ট্ৰেণ ধরিতে পারিয়াছিলেন। আবার তঁহার শ্ৰোদ্ধের সময় যে অত্যাশ্চৰ্য্য ঘটনা ঘটিয়াছিল। তাহা শুনিলে আরও অবাক হইতে হয়। তখন জুলাই মাস, চারিদিকে