পাতা:বংশ-পরিচয় (দশম খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওকড়সা-চৌধুরী-বংশ SOS দেখেন,-“মুরশিদাবাদ দালিমতলার বাড়ীতে পািনর লক্ষ মুদ্র সত্ৰাজিৎ কর্তৃক নিহিত আছে।” এজন্য র্তাহারা তথায় গমন করেন। এত টাকা যে তঁহাদের হস্তগত হইবে, তাহা তাহদের মনে না থাকিলেও, অন্ততঃ সেই স্থানটী দেখিবার জন্য তঁহাদের অন্তরে বিশেষ কৌতুহলের উন্ত্রেক হইয়াছিল। সেখানে গিয়া দেখেন, তখন তথায় লছমীপৎ বাটী নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছেন। বনজঙ্গল-পূর্ণ ভগ্ন ইষ্টকরাশি সুন্দর সৌধমালায় পরিণত হইয়া স্থানটীকে সম্যক পরিবৰ্ত্তিত করিয়াছে। সেই দৃশ্যেই তঁাহারা সানন্দে গৃহ-প্ৰত্যাগত হয়েন। রাধাকাস্তের জ্যেষ্ঠ পুত্র আনন্দমোহন চৌধুরী মুনসেফ ছিলেন। তাহার স্বখাত পুষ্করিণী আনন্দসাগর এখনও বিদ্যমান থাকিয়া গ্রামের হিতসাধন করিতেছে। রাধাকান্তের ৪র্থ পুত্ৰ কৃষ্ণকেশব বৰ্দ্ধমানের তেওয়ারী বাবুদের নিকট অনেক সম্পত্তি পত্তনী লয়েন। তঁহার পৌত্র রাখালদাস চৌধুরী একজন প্ৰসিদ্ধ পাখোয়াজী ছিলেন। র্তাহার নাম সঙ্গীত-সম্প্রদায়ে সুপরিচিত । তিনি কাশিমবাজারাধিপতি মহারাজ মণীন্দ্ৰচন্দ্ৰ নন্দী বাহাদুরের সভায় কিছুদিন গীতবাদ্যের আলোচনায় থাকিয়া বিশেষ খ্যাতি ও আদর-আপ্যায়ন লাভ করেন । তাহার অনেক ছাত্র তাহার নিকট শিক্ষালাভ করিয়া জীবিকানিৰ্বাহ করিতেছেন। তাহার আর একটী বেশ গুণ ছিল, তিনি প্ৰত্যুৎপন্নমতিত্ব-বলে সরল ও সরস কথায় লোককে মুগ্ধ করিতেন । কাশীনাথের দ্বিতীয় পুত্র (রামকান্তের প্রপৌত্র ) ছকুচন্দ্ৰ চৌধুরী নিজ বুদ্ধিবলে বহু সম্পত্তি করিয়া গিয়াছেন। এক্ষণে র্তাহার দৌহিত্রেরা তাঁহা ভোগ দখল করিয়া ওকড়সায় বাস করিতেছেন। কাশীনাথের তৃতীয় পুত্র রমাকান্ত । র্তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্র পদ্মলোচন। ইনি বীরভূম জেলার রাইপুর গ্রামে সম্পত্তি করেন। তাহার পৌত্র বিশ্বচন্দ্রের সন্তানাদি না থাকায়, তাহার দৌহিত্র রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়