পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুড়িপুষ্করিণীর সাহানা-বংশ 切"> আরম্ভ করেন। তঁহারা তমলুক প্রভৃতি স্থান হইতে লবণ, মশলা, শঙ্খ প্রভৃতি গরুর পৃষ্ঠে বোঝাই করিয়া বহিচটা এবং সময়ে সময়ে গয়া পৰ্য্যস্ত গিয়া বিক্রয় করিয়া আসিতেন । ঐ ব্যবসায়ে তাহারা প্ৰভূত অর্থ উপাৰ্জন করিয়াছিলেন । দুল্লভ কোঙারের সময়ই ঐ বংশের সর্বাপেক্ষা অধিক উন্নতি হইয়াছিল । শুনা যায়, দুল্লভ কোঙারের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত গোগৃহগুলিতে দশ সহস্র গরু থাকিত। এক স্থানে অধিকংখ্যক গরু রাখার অঙ্গ সুবিধা দেখিয়া তিনি গোচরণ ভূমির প্রাচুৰ্য্যযুক্ত বিভিন্ন স্থানে গোঠ নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন ; গোগণের স্নান ও পানের জলের জন্য স্থানে স্থানে বাধ ও পুষ্করিণী আদি খনন করাইয়াছিলেন। } কালক্রমে গোঠ গিয়াছে ; ঐ সকল বঁধ পুষ্করিণীও অন্যহস্তগত হইয়াছে। তুল্লভ কোঙার অর্থশালী ব্যবসায়ী এবং রাজভক্ত প্ৰজা ছিলেন । পূৰ্ত্তকাৰ্য্যেও তাঁহার বিশেষ অনুরাগ ছিল। তিনি কেন্দুড় গ্রামে কযেকটি দীর্ঘিকা খনন করাইয়াছিলেন ; সেগুলি এখনও বৰ্ত্তমান । তন্মধ্যে “মন্দির সায়ের”টি সব্বাপেক্ষা বৃহৎ, তাহাতে এখনও বড় বড় কুম্ভীরের আবির্ভাব হয় । উহার ঘাটে দুল্লাভের জনক-জননী শিবমন্দির প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন বলিয়া উহার নাম ‘মন্দির সায়ার” । আর একটা বৃহৎ দীর্ঘিকা ‘আগুনখাকীর সায়ার” । দুল্লভ কোঙারের জননী সহমৃতা হওয়ায় তাহার স্মরণোদেশে তিনি এই সায়ের খনন করাইয়াছিলেন। } সহমৃতা রমণীকে সাধারণতঃ “সতী” এবং স্বেচ্ছায় আগ্ৰহসহকারে সহমৃতাকে ‘আগুনখাকী” বলা হইত। দুল্লাভের জননী স্বেচ্ছায় সাগ্ৰহে সহমৃতা হইয়াছিলেন বলিয়া তাহার ‘আগুনখাকী” আখ্যা হইয়াছিল । দুল্লভ কোঙার যে বৎসর এই ‘আগুনখাকীর সায়ার” খনন করাইতে ছিলেন সে বৎসর দেশে দুর্ভিক্ষ হইয়াছিল এবং পাঠানগণ উড়িষ্যায় 2