পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুড়িপুষ্করিণীর সাহানা-বংশ b^○ আমাকে এইরূপ সনন্দ দেন যে, আমার গরু চরাইবার জন্য যেখানেই গোষ্ঠ স্থাপন করি কেহ বাধা দিবে না এবং গরুর স্নান-পানের জন্য কোন স্থানে পুষ্করিণী খনন করিবার আবশ্যক হইলে নিষ্কর ভূমি পাইব ।” নবাব তদনুসারে দুল্লভকে নিজের স্বাক্ষর ও মোহর-অঙ্কিত একটী পাঞ্জা পাট্টা বা সনন্দ দেন। আজও সেই সনন্দটী বৰ্ত্তমান আছে। দুল্লাভের নিলোভিতা ও দানশৌণ্ডত দেখিয়া নবাব বিশেষ সন্তুষ্ট হইয়াছিলেন। সেইজন্য পূর্বোক্তরূপ সনন্দ দিবার পর তিনি দুল্লভকে “সাহানী” ( The Royal ) উপাধি দেন। দুল্লভ সাহানার সময় হইতেই ঐ বংশের ‘কোঙার” উপাধি লুপ্ত হইয়া “সাহানা” উপাধি প্ৰচলিত হয় । দুল্লভ সাহানা ও র্তাহার বংশধরগণ নবাবদত্ত সনন্দেরও যে যথেষ্ট সদ্ব্যবহার করিয়াছিলেন তাহার অনেক প্ৰমাণ পাওয়া যায়। বাঁকুড়া সহরের দুই ক্রোশ পশ্চিমে ‘সাহানা বাধ” বা “ সানা বাধ” নামে একটা গ্ৰাম আছে, সাহানা বা উচ্চারণশৈথিল্যে “সানা”দের বঁাধ আশ্রয় করিয়া গ্ৰামটীর প্রতিষ্ঠা বলিয়াই উহার নাম “সনাবাধি” । ইষ্ট ইণ্ডিয়া রেলওয়ের জামিতাড়া ষ্টেশনের কিছুদূরে একটি গ্রাম আছে তাহার নাম ‘সাহানা” । মেদিনীপুর ষাঠিবার পথে অনেকগুলি পুষ্করিণী “সাহানা”দের খনিত বলিয়া পরিচিত ; ঐ পথে “নেড়ামন্দির সায়ার” বলিয়া একটি পুষ্করিণী ও তৎসংক্রান্ত কিম্বদন্তী আছে যে, কেন্দুড়-নিবাসী আত্মারাম সাহানা ঐ পুষ্করিণী খনন করিয়াছিলেন। আরও বহুস্থানে সাহানাদের BD DBDBDB DBDS YB DES দুৰ্লভ সাহানার এক বংশধরের নাম ছিল কুড়ারাম সাহানা । অধিক বয়স পৰ্য্যন্ত র্তাহার পুত্ৰাদি না হওয়ায় গ্রামের কেহ কেহ তাহার পরোক্ষে তঁহাকে “আঁাটকুড়ারাম” বলিত। কথাটা ক্ৰমে গ্রামে ব্যাপ্ত হইয়া পড়ে। অপুত্ৰকবাচক “আটকুড়া” ও “নিৰ্ব্বংশ” শব্দদ্বয় নিন্দ ও