পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুড়িপুষ্করিণীর সাহানা-বংশ *ぐ করিয়াছিলেন, তাহাতে ভগীরথ সাহানার সম্বন্ধে এইরূপ উক্তি ছিল - “ভগীরথ সানা ভাত খেয়ে পেটে বুলায় হাত, নিজে খায় আর জোগায় দশজনের ভাত ।” ভগীরথের সময় পৰ্য্যন্ত কুড়ারাম-প্ৰতিষ্ঠিত শ্ৰীশ্ৰী৬৮ শিবঠাকুরের নিত্যসেবা, গাজন ইত্যাদিই অনুষ্ঠিত হইত এবং বৎসরের মধ্যে একদিন, বৈশাখী সংক্রান্তির পূর্বদিন, যুগান্ধ্যার পূজা হইত। ভগীরথ আপন গৃহে শ্ৰীশ্ৰী৬৮দুৰ্গা দেবীর পূজা স্থাপনা করেন এবং শ্ৰীশ্ৰী৬৮শ্ৰীধর জীউ নামক শালগ্ৰাম শিলার প্রতিষ্ঠা করিয়া ঐ দেবতার নিত্যপূজা নিজেই করিতে থাকেন। পরে তঁহার গুরুদেব আসিয়া তাহার অনুপস্থিতিতে ও অসুস্থ অবস্থায় পূজার ব্যাঘাত হইবে, ব্ৰাহ্মণ পুরোহিত যখন রহিয়াছেন তখন ভিটায় পুরোহিতের নিত্য আগমন বাঞ্ছনীয় গ্ৰ ভূতি কথা বলায় শ্ৰীশ্ৰী৬/শ্রীধর জীউর জন্য ব্ৰাহ্মণ পূজক নিযুক্ত করেন। ভগীরথের প্রথম পত্নীর গর্ভজাত জ্যেষ্ঠপুত্ৰ গোসাইদাস আতিশয় উদ্যোগী, বলবান ও সুদৰ্শন পুরুষ ছিলেন । বাল্যে তিনি বাঙ্গালা ও পাশী ভাষা শিক্ষা করিয়াছিলেন ; পরে। কাৰ্য্যসৌকর্য্যাৰ্থ তিনি গোরক্ষপুরী হিন্দী শিক্ষা করিয়াছিলেন । তঁহার হস্তাক্ষর অতি সুন্দর ও তেজেব্যঞ্জক ছিল । চব্বিশ বৎসর বয়সে। তঁহার প্রথম পুত্ৰ প্ৰাণকৃষ্ণের জন্ম হয়। ঐ বৎসরই তিনি অর্থ উপার্জনের চেষ্টায় শুড়িপুষ্করিণী হইতে একাকী তারকেশ্বরের পথে পদব্ৰজে কলিকাতায় গমন করেন । তাহার বলবান সুন্দর দেহ এবং পল্লীসুলভ সরলতা একজন উচ্চমানা পশ্চিমদেশীয় পনবান ব্ৰাহ্মণ ব্যবসায়ীর স্নেহদৃষ্টি আকর্ষণ করে। ঐ ব্ৰাহ্মণ ব্যবসায়ীর উপাধি ছিল তর্কনায়ক ; তিনি গোরক্ষীপুর জেলার অধিবাসী ছিলেন। বড় বড় শাল কাষ্ঠ ( বাহাদুরী মাজ) পার্বত্য নেপাল প্রদেশের জঙ্গল হইতে প্ৰথমে হস্তীর দ্বারা টানাইয়া আনিয়া