পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুড়িপুষ্করিণীর সাহানা-বংশ ክሦዓ গোঁসাইদাস স্নেহশীল মনিবের ঐ কথায় কয়েক দল করাতি লইয়া একটা ফাডাই কাষ্ঠের কারবার করেন এবং তাঁহাতে র্তাহার কিছু কিছু অর্জনও হয়। তিনি ঐ রূপে অর্জিত অর্থের দ্বারা রাণীগঞ্জে একটা কায়বারের পত্তন করিয়া তাহার স্বগ্রামবামী পিসতুতো ভাই রূপদাস সামন্তের সহায়তায় তাহা চালাইতে থাকেন । রূপদাসের সততায় ও কৰ্ম্মিত্বে ঐ কারবার প্রথমাবধিই লাভজনক হইয়াছিল। ঐ কারবার প্ৰতিষ্ঠার অল্পদিন পরেই মাত্ৰ ৪১ বৎসর বয়সে গোসাইদাস দুই পুত্ৰ রাখিয়া পরলোক গমন করেন । গোঁসাইদাসের মৃত্যুকালে তঁহার জ্যেষ্ঠপুত্ৰ প্ৰাণকৃষ্ণের বয়স ১৭ বৎসর এবং কনিষ্ঠপুত্র রাজকৃষ্ণের বয়স ছয় বৎসর মাত্র ছিল। প্ৰাণকৃষ্ণের ১১ বৎসর ও রাজকৃষ্ণেব ছয় মাস বয়সে। তঁহাদের সাধবী জননী ক্ষেমঙ্করী দেবীর মৃত্যু হইয়াছিল। প্ৰাণকৃষ্ণ ও রাজকৃষ্ণের মাতুলালয় বঁকুড়ার নিকটবৰ্ত্তী ছাতারকানালী গ্রামের প্রসিদ্ধ সর্দার সামন্ত-বংশে। এই সামন্তগণ পূর্বে বৰ্দ্ধমানের উত্তর কুড়মুন পলাসীতে অবস্থিত ছিলেন। মোগল সাম্রাজ্যের অবনতির সময়ে ঐ স্থানে যুদ্ধকাৰ্য্যের কোনরূপ জুযোগ না পাইয়া জানকীনাথ সামন্ত ও র্তাহার ভ্রাতা মল্লভূমের আগমন করিয়া মল্লরাজগণের অধীনে সৈনিকের কাৰ্য্যে নিযুক্ত হন। সে সময়ে মল্লভূমে বগীর হাঙ্গামায় প্রতিনিয়তই যুদ্ধকাৰ্য্যের অবসর ছিল। বিষ্ণুপুরাধিপতির সেনাপতি দামোদর সিংহের অবিবেচনায় মুর্শিদাবাদআক্রমণোদেশে ভাস্কর পণ্ডিতের অধীনে পরিচালিত মারাঠা বাহিনীকে বাধা দেওয়া হয় । ইহাতে মারাঠার ক্ৰোধ পুনঃ পুনঃ মল্লভূম-আক্রমণে পৰ্য্যবসিত হইয়াছিল। এই জানকীনাথ ছাতারকানালীর সামন্তগণের আদিপুরুষ। তঁহার কাৰ্ম্মিত্বে ও বিশ্বস্ততায় সন্তুষ্ট হইয়া মল্লরাজ তঁহাকে ও তােহর ভ্রাতাকে কতক ভূমি সর্দারী জায়গীররূপে দিয়া ছাতারকানালী ও কোটালপুর গ্রামে ঘাটরক্ষকরূপে স্থাপিত করেন । প্ৰাণকৃষ্ণ ও