পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ad Vo অজ্ঞান অবস্থায় থাকায় প্ৰাণকৃষ্ণের মৃত্যু ও তঁহার দেহ নিমতলার ঘাটে লইয়া যাওয়ার কথা জানিতে পারেন নাই । সামান্যমাত্র জ্ঞানসঞ্চার হইতেই জিজাসা করিলেন, ‘দাদা কেমন আছেন ?” তঁহার শুশ্রীষাকারী যখন বলিল, “তিনি ভালই আছেন,” তখন তাহার স্বরে বৈলক্ষণ্য লক্ষ্য করিয়া বলিলেন, “বুঝেছি, দাদা চলে গেছেন।” এই বলিয়া দীর্ঘনিঃশ্বাস ত্যাগ করিয়া তিনি চক্ষু মুদিয়া কর জপিতে লাগিলেন। ঐ ষে চক্ষু মুদ্রিত করিলেন আর তাহা উন্মীলিত করিলেন না । প্ৰাণকৃষ্ণের দেহত্যাগের ৩০ ঘণ্টা পরে ১লা চৈত্র সৌভ্রাতৃত্বের পরাকাষ্ঠ প্ৰদৰ্শন করিয়া তিনিও ইহলোক ত্যাগ করিলেন । মৃত্যুকালে প্ৰাণকৃষ্ণের বয়স ৬২ বৎসর এবং রাজকৃষ্ণের মাত্ৰ ৫১ বৎসর হইয়াছিল। প্ৰাণকৃষ্ণ তঁহার একমাত্ৰ কন্যা চণ্ডীদাসী দেবীকে ও একমাত্র পুত্ৰ সত্যকিঙ্করকে রাখিয়া যান এবং রাজকৃষ্ণ র্তাহার তিন কন্যা-জ্ঞানদাসুন্দরী দেবী, ননীবালা দেবী ও রাধারণী দেবী এবং চারি পুত্ৰ-করুণাকিঙ্কর, বগলাকিঙ্কর, কমলাকিঙ্কর ও বিমলাকিঙ্করকে রাখিয়া যান । প্ৰাণকৃষ্ণের একমাত্র পুত্র সত্যকিঙ্কর ১২৮১ সালের বৈশাখী বা বৌদ্ধ পূর্ণিমার দিন ভূমিষ্ট হন। তঁহার ১০|| ১৭ বৎসর বয়স পৰ্য্যন্ত তিনিই পরিবার মধ্যে একমাত্র বালক শিশু ছিলেন বলিয়া তিনি বিশেষ আদর-যত্নে লালিত-পালিত হন। পঞ্চম বৎসরে বিদ্যারম্ভ হইলে তঁহাকে দূরস্থিত পাঠশালায় পাঠাইতে অনিচ্ছুক হইয়া প্ৰাণকৃষ্ণ একজন সুযোগ্য গুরুমহাশয় আনাষ্টয়া তঁহার গোলাবাড়ীর একটা গৃহে পাঠশালা স্থাপন করেন। সত্যকিঙ্কর প্রায় দুই বৎসর কাল ঐ শিক্ষকের নিকট থাকিয়া বাঙ্গালাভাষা, হস্তলিখন ও অঙ্ক শিক্ষা করেন। সেই সময়ে শুড়িপুষ্করিণী ও তন্নিকটবৰ্ত্তী গ্রামসমূহে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব হয় । সত্যকিঙ্কর ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় প্ৰাণকৃষ্ণ তঁহাকে রাণীগঞ্জে লইয়া যান। সেখানে কয় মাস থাকিলে তঁহার শরীর সারিয়া যায় ;