পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুড়িপুষ্করিণীর সাহানা-বংশ କର কলিকাতায় কলেজের পাঠে বেশী মনোযোগ না করিয়া তিনি অচিরপ্ৰতিষ্ঠিত চৈতন্য লাইব্রেরীতে বাঙ্গালা পুস্তক-পাঠেই বেশী সময় কাটাইতেন এবং নিত্যই দুই একখানি পুস্তক গৃহে আনিয়াও পড়িতেন। এ জন্য কলেজে ভাল ফল হয় নাই। ১৮৯৪ সালে এফ, এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজে প্ৰবেশ করেন। ১৮৯৬ সালে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হইয়া তিনি বি-এ পরীক্ষা দিতে পারেন নাই। ১৮৯৭ সালে পরীক্ষায় কৃতকাৰ্য্য হইতে না পারিয়া পুনরায় জেনারেল এসেমব্লিজ ইনষ্টিটিউশনে আইসেন এবং ১৮৯৮ সালে ঐ কলেজ হইতে বি-এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তাহার পর তিনি ঐ কলেজে ইংরাজীতে এম-এ এবং রিপন কলেজে অ আইন অধ্যয়ন করেন এবং উভয় পরীক্ষার জন্য প্ৰস্তুত হন। নানা কারণে তিনি ঐ দুই পরীক্ষা দিতে পারেন নাই। প্তাহার বিলাত যাইবার বলবতী ইচ্ছা ছিল কিন্তু পিতামাতার একমাত্র পুত্ৰ বলিয়া তাহারা তাহাকে বিলাতে পাঠাইতে স্বীকৃত হন নাই । ঐ ভাবে কলেজ ত্যাগ করিবার পর তিনি পিতা ও পিতৃব্যের নিকট তাহদের অভ্র ও কয়লার খনি ব্যবসায়ে ও জমিদারী-ব্যাপারে শিক্ষা লাভ করেন। ঐ সময়ে ইংরাজী, বাঙ্গালা ও সংস্কৃত কাব্যাদি পাঠেই তিনি অধিক সময় কাটাইতেন । অশ্বারোহণে এবং ছিপ ও বন্দুক দ্বারা শিকারেও তঁহার বিশেষ অনুরাগ ছিল। ঐ রূপ অবস্থায় র্তাহার পিতা ও পিতৃব্যের ৩০ ঘণ্টা ব্যবধানে মৃত্যু হয়। রাজকৃষ্ণের পুত্ৰগণ তখনও কিশোরবয়স্ক, কাজেই সমস্ত বিষয়ের ভার সত্যকিঙ্করকেই বহন করিতে হয়। সংসারে প্রবেশ করিয়াই তাহার যে মূৰ্ত্তি র্তাহার দৃষ্টিপথে পড়িয়াছিল তাহা বড়ই অগ্ৰীতিকর। প্ৰাণকৃষ্ণ ও রাজকৃষ্ণ যে সকল নিঃসম্বল লোককে হাতে ধরিয়া নিজেদের কোন কোন কারবারের অংশীদাররূপে বা কৰ্ম্মচারীরূপে উন্নতির পথে স্থাপিত করিয়াছিলেন। তঁহাদেরই কেহ কেহ সত্যকিঙ্করের ও রাজকৃষ্ণের