পাতা:বংশ-পরিচয় (দ্বাদশ খণ্ড) - জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুমার.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| ܕܘ݂ ܬ মধ্যমপুত্ৰ অটলবিহারী পাল বালেশ্বরের কালেক্টরীতে কিছুকাল কাৰ্য্য করিয়া ডেপুটী কলেক্টর হইয়াছিলেন। তৎপরে স্বাস্থ্যভঙ্গ হওয়ায় তাহাকেও কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া চুচুড়ায় যাইতে হইয়াছিল। তৃতীয় পুত্র ক্ষেত্ৰমোহন পাল মহাশয় হুগলী কলেজে পড়াশুনার পর সরকারী কাৰ্য্যে প্ৰবিষ্ট হন এবং যোগ্যতার সহিত কাজ করিবার পর পেনসন লইয়া বাটীতে প্ৰত্যাগমন করেন । ৬/বৈকুণ্ঠনাথ পাল চতুর্থ পুত্ৰ বৈকুণ্ঠনাথ পাল মহাশয় কলিকাতায় প্রেসিডেন্সী কলেজে পড়িতেন । তিনি প্ৰত্যেক পরীক্ষায় বৃত্তিলাভ করিয়া পরিশেষে ওকালতী পরীক্ষায় পাশ করেন। তাহার পর হাইকোট প্ৰতিষ্ঠার এক বৎসর পরেই তিনি হাইকোর্টে ওকালতী করিতে আরম্ভ করেন। সুবৰ্ণবণিক সমাজের মধ্যে তিনিই প্ৰথম হাইকোটে ওকালতী ব্যবসা আরম্ভ করিয়াছিলেন । জ্যেষ্ঠ ভ্ৰাতা দ্বারিকানাথ পাল তাহার ব্যবসায়ের সাহায্য করায় এবং সাংসারিক খরচের সমস্ত দায়িত্ব গ্ৰহণ করায় তিনি ক্ৰমে ক্ৰমে উক্ত ব্যবসায়ে উন্নতিলাভ করিয়াছিলেন। সে সময়ে সরকারী চাকুরী লাভ করা যদিও অনায়াসসাধ্য ছিল এবং রায় বাহাদুর বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ভূতপূর্ব ডিষ্ট্ৰক্ট জজ ব্রজেন্দ্রনাথ শীল প্রভৃতি সরকারী চাকুরী করিতেন। কিন্তু বৈকুণ্ঠবাবুকোনদিন চাকুরী গ্ৰহণ করেন নাই । তিনি সাধারণের উন্নতির জন্য অনেক কাৰ্য্য করিয়াছিলেন এবং চুচুড়ার ও স্বজাতিবর্গের কল্যাণ-সাধনাৰ্থ অনেক সভাসমিতিতে যোগদান করিতেন । তিনি কায়মনোবাক্যে অর্থ ও সামর্থ্যা দিয়া স্বদেশবাসীর সেবা করতেন । সে সময়ে বহু বিবাহ উপলক্ষ্য করিয়া “কুলীনকুলসর্বস্ব” নামক প্ৰহসন অভিনীত হয় । তিনি উক্ত প্রহসনে বন্ধুগণের সহিত যোগদান